সরকারি আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে টিউশন ব্যবসায় পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ।

IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড। শিক্ষক শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। কিন্তু শিক্ষক অধ্যাপকরা যখন শিক্ষার বদলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত গঠনে হুমকি দিয়ে শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করে থাকেন তখন সে সমাজে অন্ধকার ছাড়া আর আলোর দেখা মিলে না। ঘটনা ধর্মনগর বাগবাসা স্থিত পলিটেকনিকেল কলেজের। সেই কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রসূন দত্তের অনৈতিক ব্যবহারে নাজেহাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। পরীক্ষায় পাশ করতে হলে উনার কাছে প্রাইভেট টিউশন নেওয়া বাধ্যতা মূলক এমনি উনার বক্তব্য। প্রতি সেমিস্টারে উনার প্রাইভেট টিউশন চার্জ ৭৫০০ টাকা। এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে হাতেনাতে ধরাপরে যান প্রসূন বাবু। একটা সময় উনি সাংবাদিকদের কাজেও বাধাদানে চেষ্টা করেন। শেষমেশ উনি টিউশন সেন্টার ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে সরকারি শিক্ষক, অধ্যাপকদের প্রাইভেট টিউশন করা সম্পূর্ণ অবৈধ। পাশাপাশি সরকারি শিক্ষক, অধ্যাপকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে বর্তমান সরকার কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছেন। সেখানে প্রসূন বাবু সরকারি আইনকে তোয়াক্কা না করে অবাধে তার প্রাইভেট টিউশনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। উনার এই অনৈতিক অবৈধ কাজে রাজ্যের শিক্ষক সমাজ যেমন কলঙ্কিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি যে সকল উচ্চ শিক্ষিত বেকারা কর্মসংস্থানের তাগিদে প্রাইভেট টিউশন করে জীবিকা অর্জনের পথ বেছে নিয়েছে তাদের রুটি রোজিও আজ প্রসূন দত্তের কারনে সংঙ্কটে। কেননা পলিটেকনিক কলেজের প্রিন্সিপাল যখন সরাসরি ছাত্রদের উনার কাছে প্রাইভেট টিউশন নেওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করেছেন। সে ক্ষেত্রে কোন ছাত্র-ছাত্রীই এখন আর কলেজের অধ্যাপকদের ছাড়া অন্য টিউশন সেন্টার থেকে গাইড নিচ্ছে না। জানা গেছে বাম মার্গিও এই ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রসূন দত্তকে বিগত আমলেও একবার বহু অভিযোগে ধর্মনগরের পলিটেকনিক কলেজ থেকে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু আবার উনি ধর্মনগরে ফিরে এসে প্রাইভেট টিউশনের ব্যবসায় মেতে উঠেছেন।

Post a Comment

0 Comments