IIW: নিজস্ব প্রতিনিধি: মরদেহ আটকে রেখে আরো সাড়ে চার লাখ টাকা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এমনই অভিযোগ আইএলএস এর বিরুদ্ধে। বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার দাবি করা ত্রিপুরা রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল আইএলএস'র পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিধবা এক নারী। চিকিৎসায় গাফিলতি সত্ত্বেও টাকার জন্য মরদেহ আটকানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রাজ্যের দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া এলাকার বাসিন্দা অঞ্জলী দের অভিযোগ, তার স্বামীর ব্রেনস্ট্রোক হয় গত মাসের শেষ দিকে। বিলোনিয়া হাসপাতাল থেকে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হয়ে বেসরকারি আইএলএস হাসপাতালে আনেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তার স্বামীর সুস্থ হয়ে ওঠাতো দূরে কথা, আইএলএস কেড়ে নিলো তার স্বামীর প্রাণ। আইএলএস হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বাবদ বিভিন্ন সময় তিনি দেড় লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তাকে জানানো হয় তার স্বামী মারা গেছেন। তিনি তখন জানতে চান তিনি তো সুস্থ হয়ে উঠছিলেন, হঠাৎ মারা গেলেন কি করে ? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। অঞ্জলী দে, সংবাদমাধ্যমকে জানান,স্বামীকে বাঁচাতে তিনি নিজ বসতবাড়ি বিক্রি করেছেন। বাড়ি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করতে কিছু দেরি হয়েছিল। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা করেনি। রোগীর পরিবারের সামনে ভেন্টিলেশন লাগালেও তারা চলে গেলে ভেন্টিলেশন খুলে রেখে দিতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী নার্সরাও রোগীসহ তাদের পরিজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আর এসব কারণেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওই নারী। এর পর যখন আবার কর্তৃপক্ষ সাড়ে চার লাখ টাকা দাবি করে তখন তিনি বাধ্য হয়ে স্থানীয় নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় মামলা করেন আইএলএস এর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য চাপে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহ ছেড়ে দেয়। আইএলএস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন শুধু বেড়েই চলেছে।
0 Comments