IIW : ওয়েব ডেস্ক :- পানিসাগর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে চলছে করকনাথ প্রজাতির মুরগি পালন। পানিসাগর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রর পশু বিজ্ঞানের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডঃ সৌমেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন করকনাথ প্রজাতির মুরগির মাংসে কলেস্টেরল ও ফেটের পরিমাণ নেই বললেই চলে। অথচ প্রটিন রয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। ফলে উচ্চ রক্ত চাপ সম্পন্ন রোগী কিংবা হার্টের সমস্যা জনিত রোগীরা অনায়াসেই এই মাংস খেতে পারেন। বর্তমানে দেশের বড়বড় শহরে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই প্রজাতির মুরগির নাম কিভাবে করকনাথ হলো একথা জানতে চাইলে উনি জানান, এটি প্রথমে মধ্য প্রদেশের ছাওয়া জেলার আদিবাসীরা পালন শুরু করে। মূলত করকনাথ মুরগির প্রজাতিটি কালো রং এর হয়। পাখনা কালো, মাথার ঝুঁটি কালো, পা কালো এমনকি এই প্রজাতির মুরগের ডিমও কালচে রং এর হয়। ফলে প্রথমে ঐ অঞ্চলের আদিবাসীরা তাদের ভাষায় এই প্রজাতির মুরগি কে কালো পাখি বলতো। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্লেষনের মাধ্যমে এই প্রজাতি মুরগির নাম করকনাথ রাখা হয়। এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সিএআরআই ইজ্জত নগর বেরেলী থেকে এই প্রজাতির মুরগি পানিসাগর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে আনা হয়। খুব তাড়াতাড়ি এই মুরগিগুলো এখানে বেড়েও উঠেছে। বর্তমানে ডিম দেওয়াও শুরু করেছে। দেশি মুরগি প্রতি সিজনে ৫০-৬০ টি ডিম দিয়ে থাকে কিন্তু করকনাথ সিজনে ১০০-১১০ টি ডিম দেয়।
0 Comments