IIW: রুপঙ্কর মগ, কাঞ্চনপুর: এ কেমন শাসকের অধীনে বেঁচে আছি আমরা !!! খোদ ডিসিএম কে ভয়ে পালিয়ে বাঁচতে হয় নিজের কোয়াটার থেকে। তাতে সহজেই অনুমান করা যায় সাধারণ মানুষের কি অবস্থা।
খবরে প্রকাশ, কাঞ্চনপুর এসডিএম কমপ্লেক্সে মোট চারটি কোয়াটার আছে। এই কোয়াটার গুলোতে থাকেন যথাক্রমে, ডিসিএম জয়দীপ দববর্মা, ডিসিএম অনিমেষ দেববর্মা, ডিসিএম নবকিশোর জমাতিয়া, ও লালজুরি আরডি ব্লকের বিডিও জগ্যেস্বর রিয়াং। গতকাল রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিট নাগাদ কাঞ্চনপুর সুভাষনগর উরিছড়া গ্রামের দুই রিয়াং যুবক লিঙ্কন রিয়াং-পিতা রাজেশ রিয়াং ও ফনিন্দ্র রিয়াং-পিতা কমল রিয়াং ডিসিএম জয়দীপ দববর্মার কোয়াটারের দরজা ভেঙ্গে উনার ঘরে ঢুকে ডিসিএম সাহেবকে লোহার রড ও কাঠের টুকরো দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। যুবক লিঙ্কন রিয়াং এর অভিযোগ ডিসিএম জয়দীপ দববর্মা সাহেব নাকি লিঙ্কনের ভাইকে মেরেছেন। লিঙ্কন আরো বলে, উগ্রপন্থী উপেন্দ্র রিয়াং তার কাকা, ভাইপো এর কিছু হয়েছে শুনলে উগ্রপন্থী কাকা নাকি ডিসিএম কে ছেড়ে দেবে না। পাশের কোয়াটারে চিৎকার শুনে লালজুরি আরডি ব্লকের বিডিও জগ্যেস্বর রিয়াং সাহেব ছুটে আসেন ডিসিএম জয়দীপ দববর্মার কোয়াটারে। তিনি এসে ঐ দুই যুবক কে আটকানোর সুযোগে ডিসিএম সাহেব দৌড়ে পালাতে সক্ষম হন। কাঞ্চনপুর থানার ওসি জয়ন্ত দাস বাবু ডিসিএম সাহেবের ফোন পেয়ে ছুটে এসে ডিসিএম সাহেবকে কাঞ্চনপুর পেট্রোল পাম্পের রাস্তা থেকে থানায় নিয়ে যান। ডিসিএম জয়দীপ দববর্মা ঐ দুই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কেইস নং ৭০/১৮। আইপিসির ৪৫৭/ ৪২৭/ ৩৩২/ ৩৫৩/ ৩৪ ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়। এদিকে ডিসিএম জয়দীপ দববর্মাকে কাঞ্চনপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার অর্পন চাকমা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার পরেই ডিসিএম সাহেব কে বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা গেছে, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত উরিছড়া গ্রামের লিঙ্কন রিয়াং পেশায় একজন সরকারী কর্মচারী। উনি দশদা আরডি ব্লকের আন্ডারে প:ভান্ডারিমা এডিসি ভিলেজ এর পঞ্চায়েত সেক্রেটারি। পঞ্চায়েতেও উনার বিরুদ্ধে আইওয়াই এর টাকা নয়ছয় করার অনেক অভিযোগ আছে। দুই অভিযুক্তকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেছে। সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ডিসিএম সাহেব যেখানে নিরাপত্তা হীন সেখানে আমরা কতটুকু নিরাপদ ??
2 Comments
Hi Ami Tinku nath from kanchanpur
ReplyDeleteHi Ami Tinku nath from kanchanpur
ReplyDelete