IIW : ওয়েব ডেস্ক :- নেশা পাচারকারীরা নতুন পন্থা অবলম্বন করে মদ পাচার করতে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে কাঞ্চনপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিক্রমজীত শুক্লা দাসের হাতে এই নিত্য নতুন অবলম্বনটিও ধরা পড়েছে। এক কথায় পুলিশের উর্দি গায়ে দিয়ে নিজের কর্তব্যে এক বিন্দু গাফিলতিও করতে চান না ওই সৎ পুলিশ অফিসার। যখনই যেখানে খবর পেয়েছেন অসামাজিক কার্যকলাপ, নেশার রমরমা ও পাচার বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে সেখানেই ছুটে গেছেন বিক্রমজিৎ শুক্লা দাস। একাধিকবার উনার কর্ম দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। আজও একই ভাবে উনার কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল পানিসাগর থেকে বিলেতি মদ বোঝাই একটি গাড়ি কাঞ্চনপুরের অভিমুখে আসবে। তাও আবার গাড়িটিতে "অন পুলিশ ডিউটি" লেখা রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে তিনি উর্দি খুলে সাধারণ পোশাকে এবং গাড়ির নেম প্লেট খুলে রেখে লালজুরি জঙ্গলে ওৎ পেতে বসে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর যথারীতি পানিসাগর থেকে গাড়িটি বিলেতিমদ নিয়ে কাঞ্চনপুরের অভিমুখে লালজুরি পৌঁছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ও উনার অন্যান্য পুলিশ বাহিনীরা গাড়িটিকে ব্যারিকেড দিয়ে দেন। কিন্তু পুলিশকে দেখতে পেয়েই পাচারকারীরা গাড়ি ফেলে পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
অবশ্য গাড়িসহ মদ কাঞ্চনপুর থানায় নিয়ে যান। গাড়িতে মোট ১২২ বোতল মদ পাওয়া যায়। খবর লেখা পর্যন্ত পলাতকদের সন্ধানে পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।
অবশ্য গাড়িসহ মদ কাঞ্চনপুর থানায় নিয়ে যান। গাড়িতে মোট ১২২ বোতল মদ পাওয়া যায়। খবর লেখা পর্যন্ত পলাতকদের সন্ধানে পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।
0 Comments