লক্ষনের কঠোর নির্দেশ, বাপী বাড়ী যা।





IIW: নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘুঘু বাসা বেঁধেছে জলাবাসা তহশীলে। কর্ম সংস্কৃতি উঠেছে লাটে। ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে জলাবাসা তহশীলের তহশীলদার অমল মলসম ও গ্রুপ ডি লক্ষন ভৌমিকের বিরুদ্ধে। জলাবাসার জনগন তো লক্ষন বাবুকে বলেন জলাবাসা তহশীল এর মালিক। তার ইচ্ছে অনুযায়ী নাকি তহশীল এর তালা খোলে আর বন্ধ হয়। তিনি দাবি করেন তিনি নাকি বিজেপি করেন, তাই তার মর্জি মোতাবেক তিনি চলবেন। আর তহশীলদার সাহেব এর কথা বলে লাভ নেই। উনাকে তহশীল অফিসে কম বাইরেই বেশি পাওয়া যায়। তিনি নাকি ভূমির সীমানা নির্ধারন এর ২৫০০ টাকা রেট করে দিয়েছেন। এই টাকা ছাড়া কোন কাজ তিনি করেন না। আর অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখছেন ৩ বছরে ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্য বানাবেন। 'এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা' গড়তে সরকারী কর্মচারীদের সততার সাথে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্ন কে ভণ্ডুল করতে যেন একাংশ কর্মচারী উঠে পরে লেগেছেন। খবরে প্রকাশ, ১১ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় বাপী দেবনাথ নামে এক ছাত্র তহশীল অফিসে যায় ইনকাম সার্টিফিকেট এর জন্য তহশীলদার বাবুর একটা সাক্ষর নিতে। কিন্তু উনাকে অফিসে দেখতে না পেয়ে বাপী অন্য ঘরে উনি  কখন আসবেন জানতে যায়। ঘরে ঢুকে দেখে অফিসে লোক বসবার বেঞ্চে অফিসের ফাইল আর তহশীলদার বাবুর চেয়ারের তোয়ালে দিয়ে বালিশ বানিয়ে নাক ডেকে কেউ একজন ঘুমাচ্ছে। বাপী অনেক ডাকাডাকি করেও যখন ভদ্রলোক কে ঘুম থেকে তুলতে পারলনা তখন বাধ্য হয়ে অফিসের বর্তমান অবস্থার ছবি তুলে মোবাইল এ জানায় সাংবাদিক দের। সাংবাদিকরা গিয়েও দেখেন ভদ্রলোক দিব্যি ঘুমিয়ে আছেন তখনো। অবশেষে তিনি চোখ খুলে ডাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলেল। তহশীলদার নেই দরকার থাকলে এস ডি এম অফিসে যাও, নাহলে কালকে এসো এই বলে আবার চোখে বন্ধ করে দিলেন। বাপী তারপ্রয়োজনের কথা বলে, তহশীলদার বাবুর ফোন নাম্বার চাইলে উনি জানালেন নাম্বার উনার কাছে নেই।    সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুরা উনার পরিচয় জানতে চাইলে উনি বলেন আমি কোনো দায়িত্বে নেই। উনি ধমক দিয়ে বলেন আমি বিজেপি করি, তোমরা আমার ছবি তুলবে না, নাহলে বিধায়ক কে এখনি ফোন করব। পরে সাংবাদিকরা জানতে পারে উনিই তহশীল অফিসের মালিক গ্রুপ ডি কর্মী লক্ষন স্যার। জনগনের এখন একটাই প্রশ্ন, এভাবেই যদি সরকারী কর্মচারীদের ব্যবহার হয়, তবেতো ???

Post a Comment

0 Comments