IIW: রুপঙ্কর মগ, নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর :- বেকাররা চির বঞ্চিত। হোক পুরনো, কিংবা নতুন সরকার মনেহচ্ছে টাকার এ পিঠ আর ও পিঠ। সরকার পরিবর্তনের পর নতুন প্রতিশ্রুতি এবং নতুন আশা সবাইকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব দূর করার। বেকারদের দুঃখ কষ্ট লাঘবের জন্য নতুন পরিকল্পনা। নতুন সরকারের তিনজনের একটা ডিড করে তার মাধ্যমে কাজ পরিবেশন করা হবে, সে রকমই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন। প্রথম ধাপেই বেকাররা হোঁচট খেলেন। প্রশংসনীয় পরিকল্পনা হলেও বেকাররা যাতে হয়রানির শিকার না হন তার জন্য সরকার কোনো ব্যবস্থা করে নি, এমনই দাবি বেকার ভাই-বোনদের। ডিড তৈরি করতে গিয়ে দালালরা আট হাজার থেকে শুরু করে পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অলিখিতভাবে গলায় চাপ দিয়ে নিচ্ছে বেকারদের কাছ থেকে। কারণ তার জন্য নির্দিষ্ট কোন মূল্য সরকারের তরফ থেকে ধার্য করা হয়নি। বেকারদের দাবি যে, মহকুমা শাসক যদি এই ডিড এর জন্য একটা মূল্য ধার্য করে দিতেন তাহলে তাদের আর হয়রানির শিকার হত না। বেকাররা নিজে কোন কাজ করতে পারছেন না, অর্থাৎ দালাল ছাড়া প্রকৃত দলিলের মালিক কেও অফিসে ঢুকে কাজ করতে দিচ্ছে না অফিস স্টাফরা। এর থেকে এটা অনুমান করা যাচ্ছে যে এখানে লেনদেন চক্রের বড় একটা হাত রয়েছে। এবং ৩০ শে নভেম্বর পূর্ত দফতরে ডিড জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এখন পর্যন্ত ৮০০ ডিড তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত স্টাফ অফিসে নেই বলে জানা যায়। আমাদের প্রতিনিধি জানান, আজ এসডিএম অফিসে উনার চেম্বারেই এক বৈঠক হয়, বৈঠকে অনেক আলোচনার পর শেষে ২৫০০ টাকা করে প্রতিটি ডিডে নেওয়া হবে বলে একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যদিও কালকের দিন শেষ দিন, ডিড তৈরি করার। আমাদের প্রতিনিধি আরো জানান, এসডিএম সাহেবের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন যে, কেউ যদি অবৈধভাবে বেশি টাকা নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 Comments