IIW: বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- ঊনকোটি জেলার পেচারথল থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরত্বে অবস্থিত নবীনছড়ার তুশিত পুরি ভাবনা বনবিহার। ৬০০ একর ভূমিতে এই বুদ্ধ মন্দির ও উপসনা স্থল। উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি (১০৮) স্থাপিত হচ্ছে এই জায়গায়। উঁচু টিলা প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ বলতে গেলে পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত এই বুদ্ধমন্দির। মায়ানমার শ্রীলঙ্কাসহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪১ জন বুদ্ধ ভিক্ষু নবীনছড়ায় আসেন। এখানের ১০৮ ফুট বুদ্ধ মূর্তি স্থাপনের কাজ চলছে বর্তমানে। আর সেটির ভিত্তি পূজার জন্য তারা পদার্পণ করেন তুশিত পুরি ভাবনা বনবিহারে। ভিত্তি পূজার পাশাপাশি এদিন ধর্ম সভায় অংশগ্রহণ করেন তারা। তারপর মধ্যাহ্নভোজন সেরে বেঙ্গালুর এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন এই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। তবে ত্রিপুরা এসে ভালো লেগেছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এই বুদ্ধ সন্ন্যাসীরা। রাস্তার জন্য সমস্যা হয়েছে কারণ এই বুদ্ধ মন্দিরে আসার জন্য যে রাস্তাটি রয়েছে সেই রাস্তার বেহাল অবস্থা রাজ্য সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বলেন রাস্তাটি সংস্কার করলে খুবই ভাল হয় এবং এই স্থানে উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে একটি ভালো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মায়ানমার থেকে আগত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। অপরদিকে এই স্থানে কোনরকম সরকারি কাজকর্ম হয়নি। বিগত বাম সরকার এই বুদ্ধ মন্দির এলাকায় কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করেনি। বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে স্থানীয় জনতার আবেদন যে এই স্থানটি ধর্মীয় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। বর্তমানে বিদেশী পর্যটকরা এখানে আসছেন তাই এই স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে খুবই ভাল হয়।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব কে মন্দিরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এসে নিজ চোখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে গেলে এই স্থানটির গুরুত্ব বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্দির কমিটির সদস্য বুদ্ধিমান চাকমা।
ত্রিপুরাতে নবীনছড়ার মত আর কোন বুদ্ধ মন্দির নেই যে এত সৌন্দর্যে ভরপুর। তাই এই স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্য সরকারের ইতিবাচক ভূমিকার প্রয়োজন।
0 Comments