এনজিওর কাজকর্ম নিয়ে পানিসাগর মহকুমা বাসীদের অভিযোগ।


IIW : দয়ানন্দ চৌধুরী, নিজস্ব প্রতিনিধি, পানিসাগর :- বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকায় জলাবাসা ও পূর্ব জলাবাসা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে দিল্লী থেকে NACO এর তিন জনের একটি ওডিট টিম আসে, এই টিম টি পানিসাগরের SPYM নামের একটি NGO এর AIDS /HIV Project এর কাজের সঠিক  কাজকর্ম হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য ই আসে। ঐ NACO ওডিট টিম আসার আগাম খবর পেয়ে SPYM নামের  NGO (যার হেড অফিস কুমারঘাটে)  তরিঘরি করে দুই পঞ্চায়েত অফিসে দুটি সাইন বোর্ড ও কিছু HIV সংক্রমন থেকে বাঁচার জন্য জন সচেতনতা মূলক ফ্লেক্স, পোষ্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়, যে সাইন বোর্ডটিতে লেখা ছিল যে "গ্রামিন তথ্য কেন্দ্র" এইচ.আই.ভি/যৌন রোগ সম্বন্দ্ধীয় যাবতীয় তথ্যের জন্য আজই যোগাযোগ করুন। প্রচারে লিঙ্ক ওয়ার্কার্স স্কীম, এই সাইন বোর্ড দেখে এবং সংস্থার কর্মকর্তা দের তোরজোর দেখে সাংবাদিকরা এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারা বলেন যে ৪ বছর থেকেই নাকি জলাবাসা ও পূর্বজলাবাসা পঞ্চায়েত অফিসে এই ইনর্ফমেশন সেন্টার গুলি রয়েছে অতচ জলাবাসাবাসি আজ পর্যন্ত এই তথ্য কেন্দ্র পঞ্চায়েত অফিসে আছে বলে কোন কিছুই জানেন না, SPYM এর কর্মকর্তাদের তাদের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান যে এলাকার পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে লোকজনদের এইচ.আই.ভি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা করা ও যাদের শরীরে এই রোগের জিবানু আছে তাদের কে বিনামুল্যে চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়া, এবং সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। এই রোগী দের কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান, যে বিনামুল্যে ঔষধ ও মাসিক ৭০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। অথচ NACO এর গাইড লাইন অনুযায়ী প্রতিটি এইচ. আই.ভি রোগির জন্য সরকারি ৭০০ টাকা ভাতার পাশাপাশি রোগিদের চিকিৎসার যাতায়াতের জন্য রয়েছে ফ্রি সরকারি বাস ও রেল পাস। বি.পি.এল  পরিবারের রোগিদের রেশন কার্ড অন্তোদয় কার্ড দেওয়া ,কেন্দ্রিয় সরকারের আবাস যোযনার ঘর সরাসরি পাইয়ে দেওয়া ,এছাড়াও কেন্দ্রিয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধায় অগ্রাধিকার দেওয়া, এই সুযোগ সুবিধার কথা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে এ বিষয়ে তাদের কোন কিছুই জানা নেই এই বিষয় নাকি সাংবাদিকরা বাড়িয়ে বলছেন। এই বিষয় কে কেন্দ্র করে সংস্থার কয়েকজন দিদিমনি সরাসরি তর্কে লিপ্ত হয়ে পরেন। পরবর্তিতে  NACO এর ওডিট টিম আসলে এই ব্যাপারে কথা বললে তারা বলেন এই বিষয় গুলি খতিয়ে দেখার জন্যে তারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভিজিট করবেন ও এর একটি সঠিক ব্যাবস্থা করবেন। এদিখে পানিসাগর মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের এইচ .আই. ভি রোগিদের সথে কথা বলে দেখা যায় যে তারা বিনামুল্যে ঔষধ ও সরকারি ৭০০ টাকা ছাড়া আর কিছু ই পাচ্ছেন না ,অথচ বছরের পর বছর এইচ. আই. ভি রোগিদের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ আসলেও প্রক্রিত পক্ষে তারা অনেকটাই বঞ্চিত। বিগত ২০১৬ থেকে ২০১৮ এই দুই বৎসরে শুধু জলাবাসা পঞ্চায়েত এলাকায় ৩ জন এইচ. আই.ভি রোগির মৃত্যু হয়েছে। এতেই পরিষ্কার যে SPYM NGO আজ ৪ বছর থেকে কি ধরনের কাজকর্ম করছে। জলাবাসা গ্রামিন এলাকার প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ ই জানেন না SPYM নামের সংস্থাটির নাম।

Post a Comment

1 Comments

  1. Its a fool who pretends to know everything in all respects of life.What if a destructive & irresponsible propaganda/rumor is disseminated by the responsible member of the 4th pillar of the democracy ?Please reflects your ideas regarding this.

    ReplyDelete