IIW : আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে এসেছেন অসমের উগ্রপন্থী সংগঠন আলোচনাপন্থী ‘ইউনাইটিড লিবারশেন ফ্রন্ট অব আসাম’ (আলফা)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া। গুয়াহাটি থেকে বিমানে তিনি আগরতলা এসেছেন। রাজ্যের কতিপয় আত্মসমর্পণকারী বৈরী নেতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা। জানা গেছে, প্রাক্তন জঙ্গি নেতার রাজ্য সফরকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আত্মসমর্পণকারী ৪৮ টি জঙ্গিগোষ্ঠী বৈঠক করেছিল আগরতলায়। তার পর আবার আলফা চেয়ারম্যানের রাজ্য সফর তৈরি করেছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। যদিও পুলিশ এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইছে না। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গী সংগঠন এটিটিএফ-এর সর্বাধিনায়ক রাঞ্জিত দেববর্মা, এনএলএফটি-র একসময়ের কট্টর সদস্য সুরন দেববর্মা, অনন্ত দেববর্মা প্রমুখ প্রাক্তন জঙ্গি নেতারা মিলে গড়ে তুলেছে ‘ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পিপলস কাউন্সিল’ (টিইউআইপিসি) নামের একটি যৌথ সংগঠন। নতুন এই সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার অরবিন্দ রাজখোয়াকে ত্রিপুরায় আনা হয়। রাজখোয়ার এটাই প্রথম ত্রিপুরা সফর। তিনি অসমের জঙ্গি সংগঠন আলফার প্রতিষ্ঠাতা। আলফ-কে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের উৎস বলেই চিহ্নিত করা হয়। এদিকে নানা জল্পনা চললেও এদিন আগরতলা বিমানবন্দরে রঞ্জিত দেববর্মা জানিয়েছেন, ত্রিপুরী সমাজের ত্রিং উৎসবে যোগদানের জন্য অরবিন্দ রাজখোয়াকে রাজ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শুক্রবার আগরতলা বিমানবন্দরে রঞ্জিত দেববর্মা ছাড়াও অন্য প্রাক্তন জঙ্গিনেতা এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন রাজখোয়াকে স্বাগত জানাতে। আগরতলা বিমানবন্দরে রাজখোয়া সাংবাদিকদের জানান, আগরতলায় এসে মনে করছেন তিনি তাঁর ঘরে এসেছেন। কারণ এখানে অনেকেই তাঁর পরিচিত। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে যাঁরা তাঁকে স্বাগত জানাতে এসেছেন তাঁদের সঙ্গে তিনি জীবনের একটা বড় অংশ কাটিয়েছেন জঙ্গলে। রাজখোয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ত্রিপুরায় এনআরসি-র প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা ঠিক করবে এখানকার আদিবাসী সমাজ। তিনি আত্মসমর্পণকারীদের পুনর্বাসন সম্পর্কে জানান, যদি সঠিকভাবে তাদের পুনর্বাসন না দেওয়া হয় তবে তারা ফের জঙ্গলে চলে যেতে পারেন। এদিন অরবিন্দ রাজখোয়া আগরতলা বিমানবন্দর থেকে যান উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদে। সেখানেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন রঞ্জিত দেববর্মা-সহ অন্য প্রাক্তন জঙ্গি নেতারা। বিকালে গিয়েছেন তুলাশিখরে। সেখানে অংশ নিয়েছেন ত্রিপুরী সমাজের ত্রিং উৎসবে।
0 Comments