১৮৭ ধারা আইন সংশোধন এবং নিজেদের বসত বাড়ি বাঁচাতে আন্দোলনের পথে ভূমি সুরক্ষা কমিটি।


IIW : আমবাসা প্রতিনিধি, পিংকু বিশাস :- আমবাসা মহাকুমার চান্দ্রাইছড়া, লালছড়ি, আমবাসা কলোনি এলাকা গুলোতে বিগত প্রায় ৫০/৬০  বছর যাবত বহু পরিবার বসবাস করছে।তাদের পূর্ব পুরুষেরাও এখানে থাকতেন। কিন্তু ২৩/২৪ বছর যাবত একটা দালাল চক্র ১৮৭ ধারাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার জন্য ময়দানে নেমে পড়েছে। এমনই অভিযোগ আমবাসা ভূমি সুরক্ষা কমিটির। আরো অভিযোগ যে মহকুমা প্রশাসন কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই বসবাসকারীদের নামে নোটিশ ইস্যু  করেছে। জানা গেছে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬১ পরিবারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এদিকে এমনও দেখা গেছে এই  পরিবারগুলোর মধ্যে এমন কয়েকজনের নামে নোটিশ দেওয়া হয়েছে যাদের এই এলাকায় কোন জায়গায় নেই। সোমবার আমবাসা ভূমি সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সম্মেলন থেকে অভিযোগ তোলা হয় মহাকুমা প্রশাসন কোন প্রকার খোঁজ খবর ছাড়াই পরিবারগুলোকে নোটিশ ইস্যু করে হয়রানি করা হচ্ছে। কমিটির অভিযোগ একটা দালাল চক্র অন্য জায়গা থেকে উপজাতিদের এনে বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে ১৮৭ ধারা অনুযায়ী এস ডিএম কোর্টে মামলা করাচ্ছে। কিন্তু সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে দাবি উঠল যারা দাবি করছে তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকলে তারা অবশ্যই জায়গা ছেড়ে দেবে তবে নিয়ে সেই জায়গা বিক্রি করা চলবে না। আর যদি বিক্রি করতেই হয় তবে বর্তমানে যারা বসবাস করছে তাদের কাছে বিক্রি করতে হবে। অবাক করার বিষয় হলো বর্তমানে যারা বসবাস করছে তারা সরকারি ঘর পেয়েছে। যদি জায়গা তাদের নাই হয় তবে তারা সরকারি ঘর কি করে পেল। আর জায়গা যদি তাদের হয় তবে তারা নোটিশ পেল কেন? এদিকে মঙ্গলবার আমবাসা মহকুমা শাসকের নিকট পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশনে দেবে আমবাসা ভূমি সুরক্ষা কমিটি। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য দাবী হল - - - - -

১৮৭ ধারার নামে জনগণকে হয়রানি করা চলবে না। ১৮৭ ধারাকে হাতিয়ার করে দালাল চক্রের জমির দালালি বন্ধ করা। ১৯৬৯ সালের উপজাতি জুত জমিতে বসবাসকারী ও উপজাতি পরিবার গুলোকে উচ্ছেদ করা চলবে না।১৯৬৯ এর আগে উপজাতি জুত ভূমিতে বসবাসকারী উপজাতি পরিবারগুলোকে ভূমির মালিকানা দেওয়ার আইনি ব্যবস্থা করা। এ দাবি পূরণ না হলে আগামী দিন আরও বৃহত্তর আন্দোলনের নামা হবে। এখন এটাই দেখার মহকুমা প্রশাসন তাদের কি আশ্বাস দেন । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সুরক্ষা কমিটির সভাপতি-সাধণ পাল সম্পাদক কাজল পাল রবীন্দ্র বনিক দিলীপ পাল প্রমুখ।

Post a Comment

0 Comments