IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, দেবাশীষ দত্ত, কৈলাসহর :- বহুজাতিক কোম্পানির গাড়ি অথবা অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি কিংবা ধন-সম্পদের আকাঙ্ক্ষা নয় মৃত্যুর শেষ দিন হলেও বিদ্যুতের আলো দেখে যেতে চান 82 বছরের বৃদ্ধ বিজয় শর্মা ও উনার 70 বছরের বৃদ্ধা স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা। সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার বহু প্রকল্প হাতে নিয়েছে এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয় সেখানে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করছে। কিন্তু তারপরও বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত বিজয় শর্মার ভাঙ্গা ঘর। যদিও এক্ষেত্রে প্রশাসন কিংবা বিদ্যুৎ দপ্তরের সরাসরি গাফিলতি না থাকলেও সমস্যা সমাধানে সদিচ্ছা গ্রহণের অভাব রয়েছে।
কুমারঘাট মহাকুমার পেচারতল ব্লকের অন্তর্গত ধ্বনি ছড়া এডিসি ভিলেজের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজয় শর্মা। বিজয় শর্মার চার মেয়ে। বর্তমানে বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা বৃদ্ধ ভাতা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কোনরকম দিন কাটান। বিজয় শর্মা নিজ ভাই রাধাকান্ত শর্মার ছেলে রতিশ শর্মাকে 6 মাস বয়স থেকেই প্রতিপালন করে আসছে বিজয় শর্মা ও তার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা। তাকে দেখাশোনা খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি পড়াশোনা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ভার বহন করে বিজয় শর্মার পরিবার। রথীশ শর্মা স্বাবলম্বী হতে শুরু করার পর থেকেই লোভ ও হিংসা জন্মাতে শুরু করে তার মধ্যে। বিজয় শর্মার কোন ছেলে সন্তান নেই চার মেয়েরই ভালো জায়গায় বিয়ে হয়ে যায় ফলে লালন পালন করে বড় করা নিজ কাকা বিজয় শর্মার সম্পত্তির উপর চোখ পরে রতিশ শর্মার। কাকার অবর্তমানে নিজে সম্পত্তির মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে রতিশ শর্মা। বিজয় শর্মার মোট চার ভাই। বিজয় শর্মার পিতা গুরু চরণ শর্মার মৃত্যুর পর বিজয় শর্মা ও তিন ভাইয়ের মধ্যে পিতৃ সম্পত্তি ভাগ করার সময় থেকে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে রথীশ শর্মা। পেশায় আইনজীবী রথীশ শর্মা নিজের প্রভাব খাটিয়ে বঞ্চিত করতে শুরু করে লালন পালন করে বড় করা নিজ কাকা বিজয় শর্মাকে। অসহায় বৃদ্ধ বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা বৃদ্ধাবস্থায় তাদের দেখাশোনা করার জন্য তাদেরই নিজ মেয়ে অনিমা শর্মাকে তাদের কাছে আনে। এর ফলে রথীশ শর্মার কাকার সম্পত্তি ভাগ বসাতে সমস্যা হতে পারে ফলে বিজয় শর্মা সাবিত্রী শর্মা ও তাদের দেখাশোনা করতে আসা মেয়ে অনিমা শর্মার উপর বিভিন্ন রকমের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন শুরু হয়ে যায়। বিজয় শর্মা ও চার ভাইয়ের মধ্যে জায়গা ভাগ হওয়ার পর সবার জন্য নির্দিষ্ট করা রাস্তা রয়েছে কাগজে কিন্তু সেই রাস্তা দিয়ে বিদ্যুৎ নিতে দিচ্ছে না রতীশ শর্মা। দপ্তর চেষ্টা করো ব্যর্থ হয় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে। আইনজীবী হওয়ার কারণে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে রথীশ শর্মা। এই রথীশ শর্মা ও রথীশ শর্মার স্ত্রী শিলা শর্মা 2005 সালের এপ্রিল মাসে বিজয় শর্মার তৃতীয় কন্যা অনিমা শর্মা ও তার পরিবারের উপর আক্রমণ করে ফলশ্রুতিতে অনিমা শর্মার মামলা দায়েরের ফলে তাদের 9 মাসের জেল ও 1 হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ষড়যন্ত্র কিংবা অপরাধ করার মানসিকতা একটুকু ক্ষান্তি হয়নি 2015 সালের নভেম্বর মাসে রথিশ শর্মা ও স্বপন শর্মা ও তপন শর্মা মিলে বৃদ্ধ কাকা বিজয় শর্মা ও কাকিমা সাবিত্রী শর্মা কে আক্রমণ করে রাতের বেলা এবং প্রাণনাশের চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে বিজয় শর্মা মামলা করলেও নিজ ক্ষমতাবলে এক অজানা কারণে পার পেয়ে যায়। রথীশ শর্মা একজন আইনজীবী তিনি আবার লিগ্যাল সার্ভিসের আইনি সহায়তা প্রদান করেন জেলার বিভিন্ন জায়গায় আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য উনার নাম ও নাম্বার লাগানো আছে কিন্তু তিনি নিজেই আইন ভঙ্গ করছেন। রথিশ শর্মার বিরুদ্ধে এগ্রিকালচার দপ্তরের সেড ঘর ভেঙ্গে নিজের বাড়ির গেট তৈরির পাশাপাশি পর্চা জালিয়াতির ও অভিযোগ রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও 82 বছরের বৃদ্ধ বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা তাদের পক্ষে আইনী লড়াইয়ে জয়লাভ করা সম্ভব নয় ফলে এ ব্যাপারে তিনি রাজ্যে সরকারের সহায়তা চাইছেন। অসহায় বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে যাতে সরকার এই সমস্যার সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি পেচারতল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্যের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সান্তনা চাকমা যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে অসহায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেন। নিজ এলাকার বিধায়িকা তথা রাজ্যের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এর কাছে আবেদন রেখেছেন। অসহায় বৃদ্ধ 82 বছরের বিজয় শর্মার বক্তব্য এই অসুস্থ বৃদ্ধ অবস্থায় আইনি লড়াই করা সম্ভব নয় ফলে প্রশাসন ও দপ্তর যেন সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার দাবি তিনি রেখেছেন। এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে উক্ত এলাকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র শব্দকর বলেন যে এই সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েতের কাছে এসেছিলেন বিজয় শর্মা। পঞ্চায়েত প্রাথমিক পর্যায়ে চেষ্টা করেছিলেন তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কিন্তু বিভিন্ন ভাবে গুণধর আইনজীবী বাধা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তিনি চাইছেন প্রশাসন যেন বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই অসহায় বৃদ্ধের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
এই বৃদ্ধ বয়সে দুর্বিষহ ভাবে জীবন কাটছে এখন ভালো চোখে দেখতে পান না। প্রতিদিন অন্ধকারে কুপি বাতি নিয়ে চার থেকে পাঁচবার প্রাকৃতিক কাজের জন্য যেতে হচ্ছে। এই দুর্বিষহ জীবন থেকে নিজের মৃত্যু কামনা করছেন অসহায় বৃদ্ধ বিজয় শর্মা।
কুমারঘাট মহাকুমার পেচারতল ব্লকের অন্তর্গত ধ্বনি ছড়া এডিসি ভিলেজের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজয় শর্মা। বিজয় শর্মার চার মেয়ে। বর্তমানে বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা বৃদ্ধ ভাতা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কোনরকম দিন কাটান। বিজয় শর্মা নিজ ভাই রাধাকান্ত শর্মার ছেলে রতিশ শর্মাকে 6 মাস বয়স থেকেই প্রতিপালন করে আসছে বিজয় শর্মা ও তার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা। তাকে দেখাশোনা খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি পড়াশোনা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ভার বহন করে বিজয় শর্মার পরিবার। রথীশ শর্মা স্বাবলম্বী হতে শুরু করার পর থেকেই লোভ ও হিংসা জন্মাতে শুরু করে তার মধ্যে। বিজয় শর্মার কোন ছেলে সন্তান নেই চার মেয়েরই ভালো জায়গায় বিয়ে হয়ে যায় ফলে লালন পালন করে বড় করা নিজ কাকা বিজয় শর্মার সম্পত্তির উপর চোখ পরে রতিশ শর্মার। কাকার অবর্তমানে নিজে সম্পত্তির মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে রতিশ শর্মা। বিজয় শর্মার মোট চার ভাই। বিজয় শর্মার পিতা গুরু চরণ শর্মার মৃত্যুর পর বিজয় শর্মা ও তিন ভাইয়ের মধ্যে পিতৃ সম্পত্তি ভাগ করার সময় থেকে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে রথীশ শর্মা। পেশায় আইনজীবী রথীশ শর্মা নিজের প্রভাব খাটিয়ে বঞ্চিত করতে শুরু করে লালন পালন করে বড় করা নিজ কাকা বিজয় শর্মাকে। অসহায় বৃদ্ধ বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা বৃদ্ধাবস্থায় তাদের দেখাশোনা করার জন্য তাদেরই নিজ মেয়ে অনিমা শর্মাকে তাদের কাছে আনে। এর ফলে রথীশ শর্মার কাকার সম্পত্তি ভাগ বসাতে সমস্যা হতে পারে ফলে বিজয় শর্মা সাবিত্রী শর্মা ও তাদের দেখাশোনা করতে আসা মেয়ে অনিমা শর্মার উপর বিভিন্ন রকমের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন শুরু হয়ে যায়। বিজয় শর্মা ও চার ভাইয়ের মধ্যে জায়গা ভাগ হওয়ার পর সবার জন্য নির্দিষ্ট করা রাস্তা রয়েছে কাগজে কিন্তু সেই রাস্তা দিয়ে বিদ্যুৎ নিতে দিচ্ছে না রতীশ শর্মা। দপ্তর চেষ্টা করো ব্যর্থ হয় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে। আইনজীবী হওয়ার কারণে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে রথীশ শর্মা। এই রথীশ শর্মা ও রথীশ শর্মার স্ত্রী শিলা শর্মা 2005 সালের এপ্রিল মাসে বিজয় শর্মার তৃতীয় কন্যা অনিমা শর্মা ও তার পরিবারের উপর আক্রমণ করে ফলশ্রুতিতে অনিমা শর্মার মামলা দায়েরের ফলে তাদের 9 মাসের জেল ও 1 হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ষড়যন্ত্র কিংবা অপরাধ করার মানসিকতা একটুকু ক্ষান্তি হয়নি 2015 সালের নভেম্বর মাসে রথিশ শর্মা ও স্বপন শর্মা ও তপন শর্মা মিলে বৃদ্ধ কাকা বিজয় শর্মা ও কাকিমা সাবিত্রী শর্মা কে আক্রমণ করে রাতের বেলা এবং প্রাণনাশের চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে বিজয় শর্মা মামলা করলেও নিজ ক্ষমতাবলে এক অজানা কারণে পার পেয়ে যায়। রথীশ শর্মা একজন আইনজীবী তিনি আবার লিগ্যাল সার্ভিসের আইনি সহায়তা প্রদান করেন জেলার বিভিন্ন জায়গায় আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য উনার নাম ও নাম্বার লাগানো আছে কিন্তু তিনি নিজেই আইন ভঙ্গ করছেন। রথিশ শর্মার বিরুদ্ধে এগ্রিকালচার দপ্তরের সেড ঘর ভেঙ্গে নিজের বাড়ির গেট তৈরির পাশাপাশি পর্চা জালিয়াতির ও অভিযোগ রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও 82 বছরের বৃদ্ধ বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মা তাদের পক্ষে আইনী লড়াইয়ে জয়লাভ করা সম্ভব নয় ফলে এ ব্যাপারে তিনি রাজ্যে সরকারের সহায়তা চাইছেন। অসহায় বিজয় শর্মা ও উনার স্ত্রী সাবিত্রী শর্মার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে যাতে সরকার এই সমস্যার সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি পেচারতল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্যের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সান্তনা চাকমা যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে অসহায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেন। নিজ এলাকার বিধায়িকা তথা রাজ্যের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এর কাছে আবেদন রেখেছেন। অসহায় বৃদ্ধ 82 বছরের বিজয় শর্মার বক্তব্য এই অসুস্থ বৃদ্ধ অবস্থায় আইনি লড়াই করা সম্ভব নয় ফলে প্রশাসন ও দপ্তর যেন সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার দাবি তিনি রেখেছেন। এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে উক্ত এলাকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র শব্দকর বলেন যে এই সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েতের কাছে এসেছিলেন বিজয় শর্মা। পঞ্চায়েত প্রাথমিক পর্যায়ে চেষ্টা করেছিলেন তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কিন্তু বিভিন্ন ভাবে গুণধর আইনজীবী বাধা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তিনি চাইছেন প্রশাসন যেন বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই অসহায় বৃদ্ধের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
এই বৃদ্ধ বয়সে দুর্বিষহ ভাবে জীবন কাটছে এখন ভালো চোখে দেখতে পান না। প্রতিদিন অন্ধকারে কুপি বাতি নিয়ে চার থেকে পাঁচবার প্রাকৃতিক কাজের জন্য যেতে হচ্ছে। এই দুর্বিষহ জীবন থেকে নিজের মৃত্যু কামনা করছেন অসহায় বৃদ্ধ বিজয় শর্মা।
0 Comments