IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- খুন ও ধর্ষণ যেন প্রতিদিনের খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলেই শুনা যায় রাজ্যের কোথাও না কোথাও খুন ও ধর্ষণের মত ঘটনা লেগেই আছে। গতকাল ছিল মুসলিম ধর্মালম্বিদের মহরম উৎসব যার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল কিন্তু ধর্মনগর পূর্ব হুরুয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক ১১ বছরের নাবালিকা পূর্ব হুরুয়ার স্কুল খুলা ভেবে স্কুলের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেয় সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ, পরিবারের লোকজন স্কুল বন্ধের খবর পেয়ে, মেয়ে বাড়িতে আসছেনা দেখে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন, সন্ধ্যা ৬ টায় পরিবারের লোকজন খবর পান মেয়েটিকে ধর্মনগর কলেজ রোডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন কিছু মানুষ। সেই মোতাবেক পরিবারের লোকজন এসে মেয়েটিকে কলেজ রোড থেকে নিয়ে যান বাড়িতে। অসহায় মায়ের মনে সন্দেহ দানা বাধে, রাতে মা মেয়ের কাছ থেকে তার ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা জানতে পারেন। নাবালিকার মা জানান মেয়েটি সকালে বাড়ি থেকে বের হতেই পাশের বাড়ির এক ৬০ বর্ষীয় বৃদ্ধ লোক নাবালিকা মেয়েকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে হাত, পা বেঁধে ও মুখে রুমাল দিয়ে তার সাথে কুকর্ম করে দিন ভর। আজ ধর্মনগর মহিলা থানায় মেয়ের পরিবারের লোকজন এসে ঘটনাটি জানান। খবর যায় মহকুমার সাংবাদিকদের কাছে। সেই খবর পেয়ে মহকুমার সাংবাদিকরা ধর্মনগর মহিলা থানায় গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে, ঘটনার বিস্তারিত পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে যেনে নেওয়ায়, খেপে লাল হয়ে যান ধর্মনগর মহিলা থানার ভার প্রাপ্ত ওসি বন্ধনা চৌধুরী। কারণ ইদানিং ধর্মনগর মহিলা থানায় ওসি স্বর্ণা দেববর্মা না থাকায় তিনি দায়িত্ব সাম্লাচ্ছেন তাই উনি যা বলবেন তাই শেষ কথা, এতে দোষী ব্যক্তি শাস্তি পাক বা না পাক তাতে উনার কিছু যায় আসে না। কোন নির্যাতিতা শিশু কিংবা মহিলা থানায় এসে অভিযোগ করলে অভিযোগ কারিনিদের শাসন করতে দেখা যায় উনাকে প্রায় সময়, যাতে থানায় ভেতরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আজ নাবালিকা মেয়ে ধর্ষণের বিষয়ে ধর্মনগর মহিলা থানায় ভারপ্রাপ্ত ওসি বন্ধনা চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ঘটনাটি সম্পর্কে অস্বীকার করেন, সংবাদ মাধ্যমের চাপে পড়ে ঘটনা স্বীকার করলেও মহকুমার সাংবাদিকরা সেই বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে, তিনি জানান রাতে থানায় এসে জানতে এখন তিনি কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু যেখানে দেশের সুপ্রিম কোর্ট-এর নির্দেশ রয়েছে নাবালিকা মেয়েদের সাথে কোন ঘটনা ঘটলে মামলার অপেক্ষা না করে পুলিশ নিজে থেকে মামলা নিতে সেখানে ধর্মনগর মহিলা থানার গুণধর ভারপ্রাপ্ত ওসি মামলা নিতে লকোচুরি খেলছেন আইনের সাথে। অবশেষে মহকুমার সাংবাদিকরা দারস্ত হয় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজীব সূত্রধরের কাছে, তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে প্রাথমিক তদন্ত করে মহিলা থানাকে মামলা নিতে বলেন এবং এই ঘটনা সম্পর্কে জানান। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজীব সূত্রধরের আদেশে মামলা নেয় মাহিলা থানা কিন্তু তার মধ্যে রয়েছে আরও বড় জালিয়ায়তি যেখানে নাবালিকা ও তার পরিবার জানিয়েছে মেয়েটিকে হাত, পা বেঁধে বস্ত্র হীন কারা হয়েছিল সাড়া দিন আটকে রাখা হয়েছিল সেখানে মহিলা থানা ৩১ নম্বর মামলায় ৩৫৪/ ৮ পক্সও ধারায় মামলা নিয়ে দায়িত্ব খালাস করেছে। যেখানে ধর্মনগর থানা যে কোন ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়, সেখানে ধর্মনগর মহিলা থানার ১-২ জন মহিলা পুলিসের ভূমিকায় পুলিসের নাম খারপ হচ্ছে।
0 Comments