আবারও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিশিকুটুম্ব দলের হানা, কুম্ভ নিদ্রায় উত্তর জেলার পুলিশকর্তারা।

IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি :- আবারও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিশিকুটুম্ব দলের হানা। এর ফলে ক্ষুব্দ স্থানীয় জনগণ কদমতলা থেকে চুড়াইবাড়ি মূল সড়কটি অবরোধ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং প্রচুর পরিমাণ পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
ঘটনা চুড়াইবাড়ি স্থিত মাতা বিশ্বেশ্বরী সেবাশ্রমে। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিগত পনেরো দিনের মাথায় তিনটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার সহ নগদ অর্থ লুট পাট করে নেয় চোরের দল। কদমতলা সার্বজনীন কালী বাড়িতে চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্য চুরাইবাড়িতে ফের আবারো কালিবাড়িতে হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার সহ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার এখনো কোনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ, এরই মধ্যে উত্তর জেলার বিশিষ্ট ধর্মীয় স্থান তথা চুরাইবাড়ির মাতা বিশ্বেশ্বরী সেবাশ্রমে ধারালো অস্ত্র নিয়ে একদল নিশিকুটুম্বের দল প্রবেশ করে একই কায়দায় স্বর্ণালঙ্কার সহ নগদ অর্থ নিয়ে গা ঢাকা দেয়। চোরের দল চুরি শেষে নিরাপদে গা-ঢাকা দিচ্ছে, পুলিশ চোরের টিকির লাগালও পাচ্ছে না, এ নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন আজ। তারই জেরে আজ স্থানীয় জনগণ চুরাইবাড়ি - কদমতলার প্রধান সড়কটি অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ ছুটে আসলেও বেগতিক অবস্থার সামাল দিতে পারেনি, ছুটে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফ্রান্সিস ডার্লং। ঘটনাস্থলের তদন্তে নামানো হয় ডগ স্কোয়াডও। এলাকাবাসী দাবি করেন চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে চোরকে পাকড়াও করতে হবে। অবশ্য পুলিশ প্রশাসন সেই লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। গভীর রাতে চোরের দল মন্দিরের মূল গেইটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। আশ্রমের এক সেবিকা জানান, কালী মায়ের দুটি গলার চেইন, কানের দুল, দুই জোড়া নপুর, মঙ্গলসূত্র, নাকের নত সব মিলিয়ে মোট দশ ভরি স্বর্ণ ও চল্লিশ ভরি রুপা নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে দুটি ধারালো দা এবং তালা ভাঙ্গার একটি যন্ত্র উদ্ধার করে। এখন দেখার বিষয় চোর কে আটক করতে জেলার প্রশাসন কতটুকু সাফল্যের সহিত কাজ করতে পারে।

Post a Comment

0 Comments