IIW : ত্রিপুরা থেকে অসমে গাঁজা পাচারের চক্রান্ত ভেস্তে দিল বাজারিছড়ার কাঁঠালতলি ওয়াচ পোস্টের পুলিশ। মাছ বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি বোলেরো পিকআপ ট্রাক থেকে উদ্ধার হল প্রায় পাঁচ কুইন্টালের মতো শুকনো গাঁজা, যার আনুমানিক কালোবাজারি মূল্য আড়াই কোটি টাকারও বেশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার সময় একটি টিআর 05 J1807 নম্বরের বোলেরো পিকআপ ট্রাক ত্রিপুরা কদমতলা থানাধীন ঝেরঝেরি নাকা পয়েন্ট পরিয়ে বিকল্প সড়ক হয়ে পাথারকান্দির দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় ঝেরঝেরি নাকা পয়েন্ট কর্মরত ছিল কনস্টেবল কৃষ্ণেন্দু সিনহা ও এসপিও রবীন্দ্র চাষা । এখানেই প্রশ্ন হল তারা গাড়িটি চেকিং না করে কিভাবে ছেড়ে দিল। পরবর্তী সময়ে ট্রাকটিতে বরফসহ মাছ বহনের কথা থাকলেও, সেটি আসলে ছিল নিষিদ্ধ মাদক পাচারের আড়াল।
কাঁঠালতলি ওয়াচ পোস্টের পুলিশ সন্দেহবশত ট্রাকটিকে থামার সংকেত দেয়, কিন্তু চালক ও সহচালক সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে ব্যারিকেড ভেঙে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কাঁঠালতলি পুলিশ ইনচার্জ কবির আহমেদ বড়ভুঁইয়া নেতৃত্বে পুলিশ দল অন্য বাহনের সহায়তায় ধাওয়া শুরু করে।
ততক্ষণে বোলেরো ট্রাকটি সোনাখিরা চেক পোস্টের ব্যারিকেডও ভেঙে এগিয়ে যায়। পুলিশের গাড়ি পিছনে ধাওয়া করতে থাকলে, চালক ও সহচালক অবস্থা বেগতিক দেখে সোনাখিরা রেলওয়ে ব্রিজের পাশে গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কো- এসপি অনির্বাণ শর্মা, বাজারিছড়া থানার ওসি আনন্দ মেধি, ও এসআই প্রভাকর চৌধুরী। তাঁদের উপস্থিতিতে গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে দেখা যায়, বরফে রাখা মাছবিহীন বিভিন্ন কার্টনের নিচে ছোট-বড় অসংখ্য প্যাকেটে ভরা রয়েছে শুকনো গাঁজা।
পুলিশের অনুমান, উদ্ধার হওয়া গাঁজার ওজন প্রায় পাঁচ কুইন্টালের কাছাকাছি, যার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
এই ঘটনায় বোলেরো গাড়িটির মালিকের সূত্র ধরে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে, এবং চালক ও সহচালকের সন্ধানে পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলছে।
কো-এসপি অনির্বাণ শর্মা জানিয়েছেন, “এটি নিঃসন্দেহে বাজারিছড়া পুলিশের একটি বড় সাফল্য। ত্রিপুরা থেকে আসাম ও অন্যত্র মাদক পাচার রুখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
প্রায় ৫ কুইন্টাল শুকনো গাঁজার আনুমানিক মূল্য আড়াই কোটি টাকা।
0 Comments