আসাম ত্রিপুরা জিরো পয়েন্টে লংকা কান্ড। আসাম পুলিশের বেধড়ক মারে আহত ৪ যুবক এবং গ্রেফতার আরও ৪।


IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- আসাম ত্রিপুরা জিরো পয়েন্টে লংকা কান্ড। আসাম পুলিশের বেধড়ক মারে আহত 8 যুবক এবং গ্রেফতার আরও ৪। ত্রিপুরার যুবকরা আসামের ধাবাতে গিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর কারনেই এই ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘটে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, আসাম সহ বহি রাজ্যের পণ্য বোঝাই লরি গুলি ত্রিপুরাতে প্রবেশ করতে হলে চুড়াইবাড়ি পরিবহণ দপ্তরে এন্ট্রি করে ছাড়পত্র নিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে হয়। সেই মোতাবেক ত্রিপুরাতে এন্ট্রি করার জন্য চোরাইবাড়িতে একদল দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই দালাল চক্র এখন ত্রিপুরাতে এন্ট্রি করতে করতে নিজেদের হাত আসামের দিকে প্রসারিত করে দিয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দলে দলে দালালরা আসামের ২০ নম্বর এলাকায় বিভিন্ন ধাবা ও হোটেল গুলোতে গিয়ে জড়ো হয়। আর সেখানে লরি চালকদের কাছ থেকে ফাইল ও গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে ত্রিপুরা চলে আসে। তাতে ধাবার মালিকরা ও হোটেল মালিকরা এদের বাধা দিলে দালালরা হোটেল মালিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। তাতে আসামের পি শর্মা নামে এক হোটেল মালিক বাজারিছড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আসাম পুলিশ আজ সকালে ত্রিপুরার দালাল চক্রের 8 জন ছেলেকে হাতেনাতে পাকড়াও করে বেধড়ক মার মেরে বাজারিছড়া থানায় নিয়ে যায়। তারই সূত্রধরে আজ ত্রিপুরার একদল উত্তেজিত যুবক আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। জাতীয় সড়কের জিরো পয়েন্টে টায়ার পোড়ানো সহ আসাম পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি আসাম এর একটি যাত্রীবাহী অটো ভেঙ্গে দেয় যুবকরা। তাতে অবস্থার অবনতি বুঝে আসাম পুলিশ ও নিজেদের বাহিনী নিয়ে ময়দানে নামে। অন্যদিকে ত্রিপুরার মহকুমা আধিকারিক এবং জেলার পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন ধীরে ধীরে।অবশেষে বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনার নিষ্পত্তি ঘটে এবং জাতীয় সড়ক যথারীতি গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এই ঘটনায় সকাল থেকে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের চোরাইবাড়িতে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ত্রিপুরার যুবকদের কাছ থেকে আসাম এর হোটেল মালিকরা বড় অঙ্কের অর্থ চায় এবং তাদের বাইক ভাংচুর করে বলে জানা গেছে । চারজন যুবক এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে । টিংকু দেব, বিকাশ সিংহ, শিব দেব এবং সুমন দেব এদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে বাজারী ছড়া থানা। তাদের বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ বাজারী ছড়া থানার পুলিশ। অবশেষে জেলার পুলিশ সুপার এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আসবার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Post a Comment

0 Comments