ধর্মনগরের বনেদি স্কুল দীননাথ নারায়ণী বিদ্যামন্দির এর ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত স্কুল চত্বর, রাস্তা অবরোধ করলো ছাত্র-ছাত্রীরা।


IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- ধর্মনগরের বনেদি স্কুল দীননাথ নারায়ণী বিদ্যামন্দিরে লংকা কান্ড। ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ এ উত্তপ্ত স্কুল চত্বর, রাস্তা অবরোধ করলো ছাত্র-ছাত্রীরা। ধর্মনগর দীননাথ নারায়ণী বিদ্যামন্দিরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের টেস্টের রেজাল্ট বের হয় আজ। এর মধ্যে মাধ্যমিকের ৮৭ জন ছাত্র ছাত্রীদের  মধ্যে ৩৭ জন ফেল করে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে সব মিলিয়ে ২২৮ জনের মধ্যে ৮৭ জন ফেল করে। রেজাল্ট বের হওয়ার পর শুরু হয় স্কুল চত্বরে  উত্তেজনা। নিয়ম মাফিক রি চেকের জন্য আবেদন করে ছাত্র ছাত্রীরা। যার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক বিষয়ের জন্য ৫০ টাকা করে নেয়। এই রি চেকের জন্য ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রী য়ারা বেশী নম্বরে ফেল করেছে তারা তাদের খাতা রি চেকের জন্য দেয়। কথা হল যেখানে বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী ফেল করা ছাত্র ছাত্রীর ১০ % কে রি চেকের মাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়ার যুক্তি রয়েছে। সেখানে স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রীরা রি চেকের জন্য টাকা নেওয়াকে ঘুষ বলে স্কুলে এসে আন্দোলন করে সকলকে টেস্টে ফাঁস করে দেবার দাবী জানিয়ে প্রথমে স্কুলের গেইটে তালা পরে স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকের একটা অংশ ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ স্কুলে পড়াশুনা হয় না স্কুলে এসে মাস্টার মশাইরা ক্লাসে যান না। যার কারণে তাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। এদিকে স্কুলের এক শিক্ষক অজয় দেববর্মা রিভিউর জন্য টাকা নেওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের দেখে ভয়ে টাকা পকেটে ঢুকিয়ে টয়লেটে চলে যায়, যা দেখে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্র ছাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ছুটে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ জ্যোতি ভট্টাচার্য তিনি বলেন রি চেকের জন্য যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা বোর্ডের নির্দেশ মুতাবেক নেওয়া হচ্ছে এবং সকল ছাত্র ছাত্রী ফাঁস করিয়ে দেওয়া কোন মতে সম্ভব নয়। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে ছুটে আসে পুলিস। খবর লেখা পর্যন্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রী মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে যে ভাবে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষক মণ্ডলীর সামনে তাদের দাবী পেশ করছে তা মুটেও মানান সই নয় বলে মনে করছে ছাত্র ছাত্রীদের একটা অংশ। তবে কিভাবে এত সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ফেল করলো তা নিয়েও অভিভাবক মহলে প্রশ্ন উঠছে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রী নিশ্চিত যে তাদের রেজাল্ট ভালো হবে সেখানে রেজাল্ট বের হওয়ার পর তাদের মনে সন্দেহের দানা বেধেছে। বিষয়টি তদন্তের দাবি উঠেছে- এখন দেখার বিষয় বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর ও শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে কী ভূমিকা গ্রহণ করেন।

Post a Comment

0 Comments