IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- উত্তর জেলা প্রশাসনকে শীতঘুমে রেখে অবাধে চলছে গরু পাচার বাণিজ্য।তাতে প্রায় জায়গাতেই দেখা যায় গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নতুবা স্থানীয় জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ লেগেই চলছে। অবশ্য সেই ঘটনা শেষ পর্যন্ত থানায় গড়াচ্ছে। গত কিছুদিন পূর্বে মহকুমার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা সাতটি গরু বোঝাই একটি বোলেরো গাড়িকে দেখতে পেয়ে আটক করেন রাতের অন্ধকারে। তখন গাড়িটির বৈধ কাগজপত্র না থাকার ফলে গ্রামবাসীরা গরুগুলিকে নামিয়ে রাখে।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ হাজির হলেও সমস্যার নিরসন করতে পারেনি। দুদিন পর থানা কর্তৃপক্ষ গরুগুলি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে চুড়াইবাড়ি থানায় নিয়ে আসে।কয়েকদিন থানাতে গরুগুলি থাকার পর গতকাল এলাকার বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও সংখ্যালঘু অংশের মানুষদের নিয়ে এক প্রয়াস মিটিং এর মাধ্যমে সেই সমাধান সূত্র বের করা হয়। অবশ্য ভবিষ্যতেও যাতে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাতে গরু আটক না হয় এবং গরু কারবারীরা যাতে বৈধ কাগজপত্র ও গাড়ির ও যাতে সঠিক কাগজ থাকে সেই বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।তাতে এলাকার হিন্দু, মুসলিম এবং পুলিশের সহযোগিতায় উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যাতে মেলবন্ধন অটুট থাকে সেই বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। এদিকে উত্তর জেলাতে অবৈধ গরু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী অত্যন্ত প্রহরীর মতো জেগে রয়েছে। যারা অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। উত্তরের সর্ববৃহৎ গরুবাজার হচ্ছে কদমতলা। সেখানে যেমন সমস্ত উত্তর জেলা সহ আসামের বৃহৎ অংশের কারবারিরা একত্রিত হয়ে সমস্ত রাজ্যে তথা বাংলাদেশে গরু যোগানের কাজ করে থাকেন।তাতে যে গাড়িগুলোতে করে গরু বহন করা হয় সেই গাড়ির বৈধ কোনো কাগজপত্র নাই সেই বিষয়ে একাধিকবার মহকুমা শাসকের দৃষ্টিগোচর করলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছেন।তাছাড়া অতিরিক্ত গরু বহন করছে প্রত্যেকটি গাড়ি যার ফলে গরু গুলা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে গোমাতা রক্ষায় বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। এভাবে প্রতি নিহত উত্তর জেলা থেকে অবৈধ গরু বোঝায় গাড়িগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে নিরাপদে। পুলিশি ভুমিকায় উভয় অংশের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
0 Comments