IIW : দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাশহর :- কৈলাসহর ইরানি থানার অন্তর্গত মাগুরুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডে রবিবার রাতে আসাব উদ্দিন ও তার ছেলে মিনার আলী বাইক চালিয়ে বাড়ি থেকে মাগুরুলি বাজারে আসার সময় বাইক আটকে বাবা আসাব উদ্দিন ও তার ছেলে মিনার আলীকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে আব্দুল আলী, ইসাক আলী জোনাইদ আলী,আলকুম আলী সহ আরও ৭ যুবক। প্রত্যেকেই ২নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা। কোনরকম বাবা ও ছেলে পালিয়ে অন্যের বাড়ীতে গিয়ে প্রান বাঁচায়। সঙ্গে সঙ্গে বাবা ছেলে কে কৈলাশহর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে তাদের কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল আলী সহ সাতজন যুবক তাদেরকে পুনরায় মারধোর শুরু করে।উত্তপ্ত হয়ে উঠে হাসপাতাল চত্বর। সঙ্গে সঙ্গে ইরানি থানা থেকে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। বাবা ও ছেলের অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়া দুইজন কেই আগরতলা রেফার করা হয়। অপরদিকে আব্দুল আলী ঘটনা করে নিজেকে অসুস্থ বানিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছে।তাকে এই ঘটনা সমন্ধে জিঞ্জাসা করা হলে আব্দুল আলী বলে সে এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয়, উলটো আসাব উদ্দিন কে দায়ী করেছে সে। তবে আব্দুল আলী প্রতিদিন মাগুরুলি গ্রাম এলাকায় ভারত-বাংলা সীমান্ত দিয়ে বিড়ি পাচার করে। শুধু তাই নয় আব্দুল আলী এলাকায় নেশা কারবারী হিসেবেও পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল আলী অপরাধমুলক কাজে যুক্ত রয়েছে বলে ইরানি থানা সুত্রে জানা গেছে। গত কিছু দিন আগে মাগুরুলি বিওপির বিএসএফ জাওয়ানরা অবৈধ ভাবে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের তার কেটে বিড়ি পাচারের সময় ধরা পড়ে কিন্তু আব্দুল পালিয়ে যেতে সখম হয়। তার পর থেকে আব্দুলের সন্দেহ আসাব উদ্দিন এবং তার ছেলে মিনার আলী মিলে তার বিড়ি ধরিয়েছে। তার জেরেই আব্দুল আলী ৬-৭ জন যুবক কে সাথে নিয়ে এই ঘটনা করেছে বলে অভিযোগ। এদিকে মিনার আলী সক্রিয় ভাবে ছাত্র রাজনিতির সাথে যুক্ত NSUI কৈলাশহর ব্লক কমিটির সে সক্রিয় সদস্য। তার এই ঘটনা শুনা মাত্রই NSUI জেলা কমিটির সভাপতি জুবের আহমেদ সহ আরও অনেক ছাত্র নেতারা মিনার কে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
0 Comments