IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, দেবাশীষ দত্ত, কৈলাশহর :-কৈলাশহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সুভাষ ঘোষ আজ দুপুরে কৈলাশহর শহরে ওনার নিজের হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সুভাষ ঘোষ বলেন কৈলাশহরের পুলিশের ষড়যন্ত্রে উনি বিগত তিন বছরে তিনটি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছিলেন। পুলিশ অবৈধভাবে সুভাষ ঘোষ কে থানার লকআপে আটকে রাখে এবং উনাকে জেলও কাটতে হয়। তিনি আরো বলেন যে পুলিশের মধ্যে বিশেষ করে কৈলাশহর তৎকালীন থানার ওসি সহ তিনজন পুলিশ অফিসারের ষড়যন্ত্রের শিকার হন তিনি। সুভাষ ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে অত্যন্ত বেদনার সাথে আর ও বলেন আমি কৈলাসহর এর ছেলে, আমাকে এভাবে মিথ্যা মামলায় পুলিশ কোনো তদন্ত না করেই হয়রানি করিয়েছে। শুধু আমাকে নয় আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীকে এবং আমার বিবাহিতা মেয়েকে ও হয়রানি করিয়েছে। অথচ গতকাল কৈলাশহর আদালত আমাকে নির্দোষ ঘোষণা করে। সাংবাদিক সম্মেলনে উনার সঙ্গে ছিলেন তিনটি মামলার আইনজীবী চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। এই বিষয়ে চিরঞ্জীব বাবু বলেন সুভাষ ঘোষের হোটেলের কর্মচারী মহাদেব দেবনাথ এর স্ত্রী পূজা দেবনাথ সুভাষ ঘোষ কে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য একটি মামলা করেছিলেন দ্বিতীয় মামলাটি করেছিল সুভাষ ঘোষের বাড়িতে পূজা দেবনাথ নামে এক মেয়ে কাজ করতো এই পূজা দেবনাথ এর বাবা সুভাষ ঘোষ এর নিকট থেকে বড় মাপের টাকা আদায় করার জন্য মিথ্যা মামলা করেছিলেন। তৃতীয় মামলাটি হয় পূজা শিশু শ্রমিক হিসেবে। তিনটি মামলা তাই পুলিশ সুভাষ ঘোষের কাছ থেকে মোটা মা পেয়ার টাকা দাবি করেছিল। সুভাষ ঘোষ টাকা দিতে অস্বীকার করলে। পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সুভাষ ঘোষ কে থানার লকআপে ঢুকায় শুধু তাই নয় সেই সময় পুলিশ এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে ছিল যার ফলে সুভাষ ঘোষের বাড়ি গাড়ি হোটেল ভাঙচুর হয়েছিল যা তৎকালীন পুলিশ আধিকারিকদের পরোক্ষ মদতেই হয়েছিল । তিনটি মামলার রায় তেই সুভাষ ঘোষ নির্দোষ প্রমাণিত। এছাড়াও আইনজীবী চিরঞ্জীব বাবু বলেন ব্যবসায়ী এবং সমাজ সেবী সুভাষ ঘোষ শহরের বেকারদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে কৈলাশহর এ রাজ্যের সবচেয়ে বড় বিস্কুট ফ্যাক্টরি খোলার চিন্তা করেছিল গত সাড়ে তিন বছর পূর্বে। কিন্তু এভাবে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পুলিশের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সুভাষ ঘোষের এই বিস্কুট ফ্যাক্টরি আর খোলা হয়নি।
0 Comments