IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর:- বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু মুখে পতিত হল পাথারকান্দি এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারি বুনো মহিলা হাতিটির। শুক্রবার সকালে পাহাড়ের গায়ে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানিয়রা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বন বিভাগের কর্মী সহ পাথারকান্দি থানার পুলিশ। জানা গেছে গত পক্ষকাল ধরে বুনো হাতির দলটি আসামের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে জনগনের ধানের জমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে এসেছে। এতে বন বিভাগের ভূমিকায় স্থানিয় আতঙ্কগ্রস্থদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।প্রতিবাদে আট নং জাতিয় সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ কার্য্যসূচীও পালন করেন স্থানিয় ভূক্তভোগীরা। তবুও সৃষ্ট সমস্যার সুরাহা হবার খবর নেই। গোটা এলাকায় দিনের পর দিন অবাদে বনাঞ্চল ধংস করার কারনে জংলি হাতিরা প্রকাশ্য লোকালয়ে প্রবেশ করে জনগনের বসত বাড়ি গুড়িয়ে দেবার পাশাপাশি স্থানিয় কৃষকদের পাঁকা ধান ও বাড়ির ফসলও হাতিরা তছনছ করে দিচ্ছে। এতে বন বিভাগের পক্ষে যে পরিমান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়, বলে অভিযোগ স্থানিয়দের। ছয়টি হাতি থাকা দলটি সাথিহারা হয়ে আরও বেপরোওয়া হয়ে উঠেছিল। গত কয়েকদিন আগে তাদের একটি হাতি তিরবিদ্ধ হয়ে আহত হয়ে বিভিন্ন লোকালয়ে প্রবেশ করে তান্ডব শুরু করে। এমনকি হাতিটি নিজের শরীরে থাকা তিরটি বের করে দিতে গত কিছুদিন আগে আহত হাতিটি হাতিখিরা আট নং লাইনের এক ব্যক্তির উঠনে বসে থাকতে দেখে সেই ব্যাক্তিটি হাতির শরীরের থাকা তিরটি বের করে দেন বলে জানা গেছে। পরে আহত হাতিটির শরীরের ক্ষত নিয়ে বৈঠাখাল চা বাগানে পৌছে বিশাল তাঁতি নামের একজনের বাড়িতে প্রবেশ করলে তারা হাতিটির শরীরে কিছুটা কবিরাজি ঔষধের প্রলেপ লাগিয়ে দেন। তখন থেকে আহত হাতিটি স্থানিয় জনগনের সাথে বন্ধু সুলভ আচরন করতে শুরু করে। যে কেউ পাশে গিয়ে তাকে ফলমূল খাওয়াতে পারতেন। ততদিনে আহত হাতিটি বাবু নামে পরিচিতি লাভ করে নেয়। বাবু বলে ডাকলে জঙ্গলের অবলা জীবটি সাড়া দিয়ে ছুটে আসত বলে জানান বাসিন্দারা।
0 Comments