IIW : আগরতলা :- শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন জামাই। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে জামাই বাপী দাস। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন জামাই বাপী দাসের আঘাত গুরুতর। তার নাক এবং মুখ দিয়ে বেশ খানিকটা রক্ত বেরিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রপুর শ্বশুরবাড়িতে, হঠাৎ করেই জামাই বাপী দাসের উপর চড়াও হয়, বাপী দাসের স্ত্রী সোমা চক্রবর্তী, শ্বশুর বিনয় চক্রবর্তী এবং শাশুড়ি শেফালি চক্রবর্তী তিন জন মিলে বেদম উত্তম মধ্যম দেয় জামাই বাপী দাসকে। এতে গুরুতর আহত হয় বাপী দাস। তাদের প্রহারে নাক মুখ ফেটে যায় বাপী দাসের। বাপী দাসের চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসে দেখতে জামাই বাপী দাস উঠোনের মাঝ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা বাপী দাসের বাড়িতে খবর পাঠায়। খবর পেয়ে দৌরে ছুটে আসে বাপী দাসের বোন এবং মা। বাপী দাসের গুরুতর অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে তারা জিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানা গেছে, বর্তমানে জিবি হাসপাতালে বাপী দাসের চিকিৎসা চলছে। এদিকে বাপী দাসের বোন থানায় মামলা করেছে বাপী দাসের স্ত্রী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। সেই মামলার বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। 'থানায় নিয়ে পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞেসাবাদ করছে। যদিও এখনো পর্যন্ত বাপী দাসকে নির্মমভাবে মারার কারণ এখনো পুলিশ জানায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে বাপী দাসের সাথে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের ঝামেলা হয়েছে আর তার জেরেই বাপী দাসের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বাপী দাসের উপর আক্রমণ করে।
0 Comments