স্বামীর দায়ের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত স্ত্রী।



IIW : নিজেস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- পারিবারিক কলহের জেরে রক্তাক্ত এক গৃহবধূ। ঘটনা চুড়াইবাড়ি থানাধীন জুমটিলা গ্ৰামের ৫ নং ওয়ার্ডে। শিশু ধর্ষণ, মহিলা ধর্ষণ ও নারীঘটিত বিভিন্ন অপরাধ এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ এই ধরনের নারী ঘটিত অজস্র অপরাধ ত্রিপুরা রাজ্যে ভাইরাস রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। ঘটনার বিবরণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দিনেই ধামাচাপা দেওয়া শুরু হয়ে যায় আইনী ভাবে। কিন্তু উত্তর জেলার একের পর এক নারীঘটিত অপরাধের একটি ঘটনারও বিচার সুষ্ঠুভাবে আদায় করতে পারেনি নির্যাতিত নারীরা। অপরাধীদের জালে তুলতে সক্ষম হলেও পুলিশ, অজ্ঞাত কারণে উপযুক্ত সাজা পাচ্ছে না অপরাধীরা। সমস্ত দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও ঘটা করে পালন করা হয় থাকে শিশু দিবস, নারী দিবস, মাতৃ দিবস সহ মহিলাদের জন্য অনেক দিবস।
এমনই এক নারী ঘটিত অপরাধ আবারো সংগঠিত হয়েছে উত্তর জেলার চুড়াইবাড়ি থানাধীন জুমটিলা গ্রামে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, জুম টিলা এলাকার সুরুজ আলী(৫০) পিতা মৃত ইউসুফ আলী গতকাল রাতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কবিরুন নেছাকে(৩৫) বেধড়ক মারপিট করে। কবিরুন নেছা কয়েকদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভূগছিল আর তারই জন্য ঔষধ নিয়ে আসার জন্য স্বামীকে বলে। এটাই তার চরম অপরাধ। রাত বারোটা নাগাদ পেশায় দিনমজুর স্বামী সুরুজ আলী ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রীকে গুরুতর আহত করে ঘরে ফেলে রাখে। অবশ্য আজ সকাল এলাকাবাসীরা দেখতে পেয়ে রক্তাক্ত কবিরুন নেছাকে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তার চিকিৎসা চললেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাকে প্রাথমিকভাবে রেফার করা হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে কে নিয়ে যাবে তাকে তার পরিবারের লোকজন সেখানে নেই তাই কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালেই অঞ্জান হয়ে পড়ে রয়েছে সে। এখনো পর্যন্ত তার স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেও একটি বারের জন্য খবর নেয়নি স্ত্রীর। ঘটনাস্থলে রয়েছে চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ। এখন দেখার বিষয় পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারে কিনা।

Post a Comment

0 Comments