IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- গত ৯ মে বিকাল বেলা ১০ বছরের নাবালিকাটি বাড়িতে একা ছিল। তার মা বাবা দুজনেই জুমের কাজে ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগে প্রতিবেশী সবিরাম রিয়াং বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। পরবর্তি সময় নাবালিকাটি তার মা বাবাকে কিছুই বলেনি। নাবালিকা মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পরে। তার মা-বাবা মেয়েটিকে আসামের মাকুন্দা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা পরিক্ষা নিরিক্ষা করে মেয়েটি মা-বাবাকে থানায় ঘটনার বিষয়ে জানানোর জন্য বলে। এরপর ১২ মে, দামছড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময় বিশেষ আদালতে মামালা দায়ের হয়। তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে দামছড়া থানার এস আই এল.এল ডার্লং। এই মামলায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ গ্রহন করা হয়। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবি সুদর্শন শর্মা। নাবালিকা ধর্ষন মামলায় মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় শোনালেন বিশেষ আদালতের বিচারক। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ দানের পর গত ১৪ নভেম্বর দোষী সাব্যস্ত করা হয় দামছড়ার সেরে চন্দ্রপারার ২২ বছরের যুবক সবিরাম রিয়াংকে । শনিবার ১৬ই নভেম্বর তাকে যাবদজীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক বলে জানান সরকার পক্ষের আইনজীবি সুদর্শন সর্মা।নারীদের সুরক্ষার জন্য আদালত এই ধরনের মামলা বিশেষ আদালতের মাধ্যমে কম সময়েই শাস্তি প্রদানের দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। আদালতের রায়ে খুশি নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার।
0 Comments