IIW: নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- পুলিশের মধ্যে অন্তর-কোন্দল, পানিসাগর থানার ওসির সাথে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের মতপার্থক্যের কথা কারো অজানা নয়। এমন কি গত কিছুদিন আগে একটি ঘটনার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি নিজেই মিমাংসা করে দিয়েছিলেন বলে যানা গেছে। ওসি বাবুর থানা এলাকায় মদ বিরোধী অভিযান চালানোয় ক্ষেপে যান ওসি সাহেব। এ নিয়ে পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বিষয়টি মীমাংসা করেন। প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসছে পানিসাগর থানার ওসি সাহেবের কথা। যার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ও এসডিপিও নেশা বিরোধী অভিযানের সাফল্য পেলেও থানার ওসি সাহেব অভিযানের নামে লোক দেখানো নাটক করেই চলেছেন। থানার নাকের ডগা থেকে গাঁজার গাড়ি আটক করে পানিসাগর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক রাজিব সূত্রধর প্রমাণ করে দিলেন যে হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না। একাংশ পুলিশ অফিসার গোয়েন্দা শাখার কর্মীরা দিনরাত এক করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন কে বাস্তব রূপ দিতে। যার ফলে সেই আমলের রদ্দিমার্কা পুলিশ বাবু, যারা নেশার টাকায় ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন তাদের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। যার জন্য প্রায়ই সিনিয়র অফিসারদের সাথে বাক্ যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে উত্তর জেলার পুলিশের অভ্যন্তরে। পানিসাগর থানার ওসি সহ বাকি পুলিশ অফিসারদের না জানিয়ে থানার সামনে থেকেই গাজার গাড়ি আটক করলেন এস ডি পি ও। সোমবার বিকাল বেলা গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ১৮৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গাজা গুলি লরির কেবিনে ছিল।কেবিন এর মধ্যে তেরপাল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ছিল ১৮ টি প্যাকেট, তার মধ্যে দশ কেজি ও পাঁচ কেজির প্যাকেট পায় পুলিশ। সকাল থেকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এর কাছে খবর ছিল শেষ পর্যন্ত বিকেল তিনটে নাগাদ থানার সামনে থেকেই গাঁজা উদ্ধার করেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। লরিটি বিহারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। চালকের নাম বিজয় চৌধুরী তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। চালক বিজয় গাজা গুলি আগরতলা থেকে নিয়ে আসছিল। গাঁজা উদ্ধার হতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা পুলিশ সুপার ভানু পদো চক্রবর্তী।পুলিশ সুপার জানান ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গাজার প্রকৃত মালিককে তা তদন্ত করছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার গোয়েন্দা শাখা ও এসডিপিও গণ সমস্ত উত্তর জেলাতেই ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছেন, কিন্তু সর্ষের মধ্যে যে ভূত লুকিয়ে আছে তারাকি তা আন্দাজ করতে পারছেন না ? কান পাতলেই শোনা যায় পানিসাগর থানায় নেশার বাণিজ্য চলছে। উর্দি ধারী বাবুরা নেশা কারবারিদের মদত যোগাচ্ছেন। প্রায় সময় গোপন সূত্রে খবর আসলেও তা গোপনেই রফাদফা করে নিজেদের পকেট গরম করছেন। আজ থানার সামনে থেকেই গাঁজা উদ্ধার করে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রমাণ করে দিলেন যে পানিসাগরের পুলিশ বাবুরা কতখানি শীত ঘুমে । নেশা বিরোধী অভিযানে যাদের জন্য সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে তাদের নাম খুব কমই হচ্ছে, কিন্তু একাংশ পুলিশ বাবুদের কারণে পুরো ডিপার্টমেন্টের নাম বদনাম হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার ইদানিং কালে দুজন অফিসারকে বরখাস্ত করেছেন। তবে আরো রাঘববোয়ালরা রয়েছে যারা এখনো দিব্যি নেশার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সে বিষয়ে পুলিশ সুপার আগামী দিনে কি ভূমিকা গ্রহণ করেন তাই এখন দেখার। তবে পানিসাগর থানার বাবুদের কাজকর্ম নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে ওসি সাহেবের কাণ্ডকারখানা নিয়ে বেশ জল ঘুলা হচ্ছে। পানিসাগর এলাকায় কান পাতলেই শুনা যায় পানিসাগর থানার কাণ্ডকারখানার কথা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পানিসাগর থানা এবং ওসির উপর সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এখন দেখার এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তি।
0 Comments