IIW: বিকাশ ভট্টাচার্য্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- বাম পাপাচারের ফল ? বিত্তশালীদের নামে মার্কেটে স্টল। ১২ বছরের বকেয়া ভাড়া বাকি। প্রকৃত গরিব বেকাররা বঞ্চিত। ব্যবসা না করেও স্টল গুলি দখল করে আছেন বাবুরা। কদমতলার সিডিপিও অফিসের পাশে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে নির্মিত বিশাল মার্কেট স্টলটি এমনিতেই পড়ে আছে। ৪-৫ জন ব্যবসায়ী দোকান খুলে ব্যবসা করছেন। সর্বমোট স্টল রয়েছে ৩২ টি। ২০০৭ সালে২০ টি স্টল নির্মাণ করা হয় এবং ২০০৯ সালে ১২টি। এই ৩২ টি স্টলের মালিকদের অধিকাংশ বিত্তশালী বা অনেকেরই কদমতলা বাজারে সরকারি স্টল রয়েছে। বাম আমলে শুধুমাত্র নেতাদের আত্মীয়-স্বজন ও ক্যাডার দেখে দেখে স্টল গুলি বন্টন করা হয়েছিল। এরা স্টল গুলি দখল করে রেখেছে কিন্তু ব্যবসা করেনি কখনো। তাতে বঞ্চিত হয়েছে বেকার যুবক রা। ১২ বছর থেকে স্টলগুলোর ভাড়া পাচ্ছে না সরকার। পঞ্চায়েত থেকে স্টল গুলির ভাড়া মাসিক ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু দু এক মাস ভাড়া দিয়ে কদমতলা পঞ্চায়েতকে আর কোন টাকাই দেয়নি স্টল মালিকরা। সি পি আই এম ক্ষমতায় ছিল বলে এতদিন স্টল গুলির রহস্য উন্মোচিত হয়নি। কিভাবে ক্ষমতার জোরে স্টল গুলি দখল করে রাখা হয়েছিল। বিত্তশালী চাকুরিজীবি পরিবারের মানুষকে স্টলের মালিক করে দেওয়া হয়েছে অথচ কদমতলার প্রকৃত বেকাররা বঞ্চিতই থেকে গেছে। প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার উপরে ভাড়া জমেগেছে যেগুলি স্টল মালিকরা পরিশোধ করে নাই। কদমতলা হাসপাতালের সামনে যে দোকানগুলি রয়েছে সেগুলি সরকারি ভূমির উপর। খবরের জেরে হাসপাতালে মর্গের রাস্তা টির সামনের দোকান ভেঙে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। কিছুদিনের মধ্যে খাস জমিতে বসা দোকানির উচ্ছেদ করা হবে। তাদের জন্য বিকল্প চিন্তাধারা নাকরলে এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি পরবে। ব্লক আধিকারিক এর নির্দেশে কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব স্টল মালিকদের নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়ে মালিকগণ কারণ দর্শালেও তাহার কোন যৌক্তিকতা নেই। তাদের দাবি এই মার্কেট স্টলে তারা দোকান খুলেছিলেন কিন্তু লোকজন এখানে আসে না তাই দোকান বন্ধ করতে হয়েছে। তাদের কথা যদি সত্যি হয় তাহলে বলতে হয় সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভাবে স্টল গুলি নির্মাণ করা হয়েছে যা মানুষের উপকারে আসেনি। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিল্ডিং বানিয়ে ফায়দা কি হলো? কদমতলার যেসব ব্যবসায়ীরা খাস জমিতে ব্যবসা করছেন তাদের এখানে পুনর্বাসন দেওয়ার দাবি উঠছে। এক যুগ ধরে স্টল না খুলে শুধুমাত্র দখল করে আছে সেই সব স্টল মালিকদের নাম কেটে পুনরায় নতুন ভাবে উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন ভাবে বন্টন হোক এই স্টল গুলি। প্রসঙ্গত খাস ভূমি দখল মুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নির্দেশে সমস্ত রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে। কদমতলায় হাসপাতাল রোডের প্রায় ২০ থেকে ২৫ দোকান রয়েছে। সে সমস্ত ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করলে এখানে পুনর্বাসন দেওয়া যেতে পারে। আর যেহেতু এইসব বিত্তশালী নেতা বাবুদের আত্মীয়-স্বজনরা এত বছর স্টল গুলি দখল করে রেখেছেন, তাদের কাজ থেকে জরিমানা সহ অর্থ আদায় করে স্টল গুলি গরিব উচ্ছেদ কৃত দোকানিদের মধ্যে বন্টন হোক এটাই সবাই চায়। কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব জানালেন স্টল মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অনেকেই বলছেন টাকা ইন্সটলমেন্টে দিয়ে দেবেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো সরকারি স্টল এমনিতে দখল করে ব্যবসা না করে আবার ভাড়া না দিয়ে যদি এরা পার পেয়ে যায় তাহলে সেই বাম আমলের ট্রেডিশন বজায় থাকবে। রাম আমলে সঠিক বিচার হবে কি তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকবে। তবে কদম তলায় উচ্ছেদ অভিযান করলে ব্যবসায়ীদের বিকল্প সুবিধা করে দিতে হবে। এখন দেখার পঞ্চায়েত ও ব্লকের বিডিও এই স্টল মালিকদের বিরুদ্ধে কি ভূমিকা গ্রহণ করেন।
0 Comments