IIW: বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় মূল্যবান আগরগাছ চুরির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে অসম-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী কাঠালতলিতে। সোমবার রাতেও মূল্যবান আগর গাছ চুরির ঘটনা সংগঠিত হলো সীমান্তবর্তী কাঠালতলিতে। জানাগেছে -দীর্ঘদিন ধরে অসম-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী কাঠালতলি এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মূল্যবান আগরগাছ চুরি করে নিচ্ছে নিশিকুটুম্বের দল। এলাকার বিভিন্ন মসজিদ সহ বসত বাড়ি থেকেও রাতের অন্ধকারে অহরহ চুরি হচ্ছে আগর গাছ ।কিন্তু এ সব ঘটনায় জড়িত থাকা কাউকে আজ অবধি গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। এতে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ উঠছে। সোমবার গভীর রাতে কাঠালতলির বাঘন গ্রামস্থিত স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মদনমোহন সিং চৌধুরির একটি আগর বাগান থেকে ১৯ টি মূল্যবান আগর গাছ চুরি হয়ে যায়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক কয়েক লক্ষ টাকা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে চুরি সংক্রান্ত এক এজাহার দায়ের করেছেন বাগান মালিক মদনমোহন সিং চৌধুরি। এদিকে অসম-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী বাঘন গ্রামের একটি গ্রামীণ সড়কের পাশ থেকে চুরি যাওয়া আগরগাছ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এক্ষেত্রে জানাগেছে সোমবার রাত আড়াই টা নাগাদ বাঘন গ্রামের আব্দুল কপ্পার প্রয়োজনের তাগিদের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। এমন সময় তিন জন অপরিচিত ব্যক্তি কাঁধে বহন করে আগরগাছ নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে চোর সন্দেহে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকেরা এসে জড়ো হন। সে সময় বিপদ বুঝে আগরগাছ গুলো রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় তিন ব্যক্তি। এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল উদ্দিন লস্কর পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান আগরবাগান মালিক মদনমোহন সিং চৌধুরি। তিনি আগর গাছ গুলো দেখে নিজের বাগানের বলে চিহ্নিত করেন। এরপর আগরগাছ গুলো উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ। বর্তমানে স্থানীয় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে আগরগাছ গুলো। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
0 Comments