IIW: নিজস্ব প্রতিনিধি, রুপঙ্কর মগ, কাঞ্চনপুর :- কাঞ্চনপুর হাসপাতালে বিভিন্ন অভাব অভিযোগ এবং পরিকাঠামোগত সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে এক বৈঠকের আয়োজন করেন মহকুমা সাস্থ্য আধিকারিক ডঃ নরেশ ত্রিপুরা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিএম অভেদানন্দ বৈদ্য, এমএলএ প্রেম কুমার রিয়াং, বিএসসি চেয়ারম্যান জিরেন্দ্র রায়াং মহাশয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক আধিকারিক রবীন্দ্র কর ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক শৈলেন্দ্র নাথ মহোদয়। হাসপাতাল দুঃসময়ে মানুষের কাছে ভগবানের মন্দিরের মত। তাই হাসপাতালের উপর সাধারন মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা থাকা ভীষন জরুরী। তাই মায়ের ঘর থেকে শুরু করে এনএইচএম কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে সব। পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া, পানীয় জল, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং আসাকর্মী নিয়োগ করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন এবং প্রয়োজন অনুসারে ছয় জন আসাকর্মী নিয়োগের জন্য আলোচন করেন। আগামী কিছু দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করে এই মহকুমা হাসপাতালকে মডেল হাসপাতাল হিসেবে তৈরী করার আশ্বাস দেন এমএলএ প্রেম কুমার রিয়াং মহাশয়। এদিকে মহকুমা সাস্থ্য আধিকারিক ডঃ নরেশ ত্রিপুরা বলেন, এখন থেকে সপ্তাহে দুদিন নিয়ম করে সনোগ্ৰাফি করা হবে এবং ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত এলাকায় ছয়শত মশারী বিতরন করা হবে। তিনি বলেন প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসার যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে সাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনাকে বাস্তব রুপ দেয়া যাচ্ছেনা। যদি এগুলোর ব্যবস্থা হয় তবে নিশ্চয়ই হাসপাতালের মান উন্নয়ন সম্ভব হবে। এখন বিশেষ ভাবে প্রয়োজন সিটিস্কেন, এন্ড্রস্কপি, এবং চক্ষু অপারেশন থিয়েটার। এছাড়াও প্রয়োজন শিশু বিশেষজ্ঞ, মহিলা বিশেষজ্ঞ, এ্যম্বোলেন্স ও সহযোগী হাসপাতাল কর্মী। হাসপাতালের সিএইচসি সেন্টার ভাণ্ডারীমা এলাকার শান্তিপুরে পরে থাকলেও নেই কোন যন্ত্রপাতি, নেই কোন স্টাফ, নেই রক্ষণাবেক্ষণ এর ব্যবস্থা। এর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তাহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রেম কুমার রিয়াং মহাশয়।
0 Comments