শিলচর-আগরতলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার নেশাজাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার।


IIW: সুনীল ডেকা, নিজস্ব প্রতিনিধি, অসম, ১২ নভেম্বর :- করিমগঞ্জ রেলস্টেশনে শিলচর-আগরতলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে প্রচুর নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ। প্রায় ১৪ কোটি টাকার নেশাজাতীয় ট্যাবলেট আটক করেছে জিআরপিএফ। সোমবার সকালে শিলচর-আগরতলাগামী ট্রেন করিমগঞ্জ স্টেশনে আসার পর রুটিন তালাশি অভিযানে উদ্ধার হয় নেশার ট্যাবলেট ভরতি দুটি ব্যাগ। তবে জিআরপিএফের গতিবিধি টের পেয়ে আগেই গা ঢাকা দিয়ে দেয় নেশা কারবারিরা।করিমগঞ্জ রেল স্টেশনে নিয়োজিত জিআরপিএফের এক সূত্র জানিয়েছে, এভাবে মায়ানমার থেকে মণিপুর, এবং মণিপুর থেকে শিলচর হয়ে আগরতলায় পাচার হয় নেশা সামগ্রী। ট্রেনে করে পাচারকৃত নেশার নানা দ্রব্য আগরতলা হয়ে বাংলাদেশের কারবারিদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। সড়কপথে কিছুটা ঝুঁকি থাকায় ইদানীং রেলপথকেই সুরক্ষিত মনে করে সমাজবিরোধীরা ট্রেনের কামরায় নেশাদ্রব্য ভর্তি ব্যাগ অথবা বস্তা বোঝাই করে যেখানে সেখানে ফেলে রাখে। আর এগুলোর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে পাচারকারীরা। এতে রেল পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে খুব সহজে অবাধে পাচার হয় নেশার ট্যাবলেট বা অন্যান্য সামগ্রী। সূত্রটি জানান, আজ সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগেভাগে ওত পেতে বসেছিলেন করিমগঞ্জের জিআরপিএফ-এর কর্মীরা। শিলচর থেকে আগরতলাগামী ট্রেনটি করিমগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছতেই গাড়ির বিভিন্ন কামরায় জোরদার তল্লাশি চালাতে শুরু করেন জওয়ানরা। অবশেষে সাফল্যও মেলে। যাত্রী বোঝাই রেলগাড়িতে সিটের নীচে রাখা ছিল দুটি বড় আকারের ব্যাগ। ব্যাগ দুটি বের করে সেগুলিতে তালাশি করে চোখ ছানবড়া জিআরপিএফের জওয়ানদের। ব্যাগ দুটির ভিতর থেকে মোট ২৮টি বড় আকারের নেশাজাতীয় সামগ্রীর প্যাকেট উদ্ধার করেন তাঁরা। সঙ্গে-সঙ্গেই পুরো ট্রেনে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১৪ কোটি টাকার নেশাজাতীয় ট্যাবলেট খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু, পাচারকারীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Post a Comment

0 Comments