ম্যাজিকের মাধ্যমে কি গায়েব সরকারি টাকা ?



IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য্য, ধর্মনগর প্রতিনিধি :- আরসিসি রিং ওয়েলের টাকা গায়েব। যে স্থানে কাজ হওয়ার কথা সেই স্থানে কাজ হয়নি। পুরো ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা কিভাবে গায়েব হলো তার তদন্ত শুরু করলাম আমরা। প্রসঙ্গত কদমতলা আর ডি ব্লকের অন্তর্গত কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ২২/১২/১৭ তারিখে ডি ডাব্লুএস দপ্তরকে পানীয় জলের উৎস নির্মাণের জন্য ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৭ টাকা দেয় কদমতলা পঞ্চায়েত। যার চেক নম্বর- ৪৪৯১৮৭। পঞ্চায়েতের এফ এফ সি ফান্ড থেকে এই কাজ এর অর্থ বরাদ্দ করা হয়। বাবুল নাথ, শ্যামসুন্দর গোস্বামী, ও পার্থসারথি ভট্টাচার্য এর জায়গায় এই পানীয় জলের উৎস গুলি নির্মাণ হবে বলে পঞ্চায়েত রেজুলেশন করে দিয়েছে। যথারীতি বাবুল নাথ ও শ্যামসুন্দর গোস্বামী  জায়গায় কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু পার্থ সারথি ভট্টাচার্যের জায়গায় কাজ হয়নি। অথচ ১৮/১২/১৮ তারিখে কদমতলা পঞ্চায়েতকে utilisation certificate দিয়ে দেয় ডি ডাব্লুএস দপ্তর। ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৭ টাকার কাজ হয়েছে বলে US তে উল্লেখ আছে। পঞ্চায়েত সচিব পল্লব চক্রবর্তী স্থান পরিদর্শন করে কাজ হয়নি দেখে ভিডিও কে একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। তাতে উল্লেখ ছিল যে এই স্থানে কাজ হয়নি। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সচিব পল্লব চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন যেহেতু পঞ্চায়েতের বরাদ্দ অর্থ কাজের জন্য দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি সেটা তদন্তের বিষয়।
আরসিসি রিং অয়েলের টাকা গায়েব হয়ে গেছে বলে কদমতলা পঞ্চায়েত এলাকায় যখন শোরগোল চলছে। ঠিক তখনই বিষয়টি পরিষ্কার এর জন্য ডি ডিব্লুএস দপ্তরের Executive Engineer অনিমেষ দাস এর কাছে গেলে তিনি তার অফিসিয়াল সাইট খুলে সাংবাদিকদের দেখান। ডি ডিব্লু এস দপ্তর এর অফিসিয়াল সাইটে এখনো পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি বলে দেখাচ্ছে। তাহলে ভুল টা কার। এ প্রসঙ্গে অনিমেষ দাস জানান এতে দপ্তরের ভুল রয়েছে ভুলবশত ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৭ টাকার US চলে গেছে। একাউন্টেন্ট ভুল করেছে। এখান থেকে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা বাদ দেওয়ার কথা কিন্তু একাউন্টেন্ট পুরো টাকার ই US করে দিয়েছে। তিনি পুনরায় সংশোধন করে আরেকটি নতুন ইউসি কদমতলা পঞ্চায়েতে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। Executive Engineer এর বক্তব্যে ও তথ্য প্রমাণে দেখা গেল আরসিসি রিং অয়েলের টাকা গায়েব হয়নি ভুলবশত ইউসি দেওয়া হয়েছে। তবে দপ্তরের এই মারাত্মক ভুলে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে তা বলা আবশ্যক।

Post a Comment

0 Comments