নেতাকে প্রনামী দিয়ে প্রকাশ্যে দুনম্বরী কাজ চলছে কৈলাসহরের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে।


IIW: দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাশহর :- শকুনের নজর পড়েছে শিক্ষাঙ্গনেও। উৎসবের মেজাজে চলছে পকেট ভরার পালা। সরকারি নিয়ম নীতি কে তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নেতাকে প্রনামী দিয়ে প্রকাশ্যে দুনম্বরী কাজ চলছে কৈলাসহর বিদ্যালয় পরিদর্শক এর অধীনে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে। কৈলাসহর বিদ্যালয় পরিদর্শক এর অধীনে কুমারঘাট এর গঙ্গানগর জয়গন্তি এইচএস স্কুলে পঞ্চাশ সিটের হোস্টেল নির্মাণ হবে এসএসএ ফান্ডের টাকায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল পঞ্চাশ সিটের পরিবর্তে কুড়ি সিটের হোস্টেল হচ্ছে, তাও দপ্তর ঘোষিত স্কুলের পরিত্যক্ত ঘর সারাই করে। নিজেদের মন মত মানুষ দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয় হোস্টেলের বিছানা কম্বল সহ অন্যান্য আসবাবপত্র কৈলাসহর এর সিনেমা হল রোডের ব্যবসায়ী আবুল হামিদ ওরফে হামিদ ইমরান সাপ্লাই দিচ্ছে। আবুল হামিদ জেলা স্তরের এক বিজেপি নেতা কে প্রনামী দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে হালকা ও নিম্নমানের বিছানা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র সাপ্লাই করছে। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিমান কুমার দে কে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলেন, রিপেয়ারিং এর কাজের বরাদ্দ কত উনি জানেন না। কে বা কারা কাজ করছে তাও তিনি জানেন না। কাজটা আই এস অর্থাৎ বিদ্যালয় পরিদর্শক করাচ্ছেন। আর বিছানা সহ আসবাবপত্র আই এস এর মৌখিক নির্দেশে আবুল হামিদকে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় পরিদর্শক, জ্ঞান প্রবীণ চাকমা কে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ফান্ড দেওয়া হয়েছে। আর কাজ যা হচ্ছে তা প্রধান শিক্ষক মশাই ই করাচ্ছেন। অথচ, কোন টেন্ডার বা বিজ্ঞাপন না দিয়ে আবুল হামিদকে কাজের এবং জিনিস সাপ্লাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই আবুল হামিদ বাম জমানায় সিপিআইএম এর পরিচিত নেতাদের ধরে অনেক সরকারি কাজ নিম্নমানের করে বিল হাতিয়ে নিয়েছে। জোট সরকার আসার পর বিজেপি দলের জেলা স্তরের এক নেতা কে তোষামোদ করে জেলার অনেকটি স্কুলের কাজ করাচ্ছে প্রণামির বিনিময়ে।

Post a Comment

0 Comments