IIW, দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর :- ইন্ডিয়া ইন্টার্নেশনাল সোসাইটি (একটি সামাজিক সংস্থা) গত চার ডিসেম্বর দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের রঞ্জন সিনহাকে " রাষ্ট্রীয় গৌরব " সম্মানে ভূষিত করেন। উনার হাতে সম্মান তুলে দেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল কে এম সেঠ। ত্রিপুরাতে এই প্রথম কেউ জাতীয় স্তরে রাষ্ট্রীয় গৌরব সম্মান পুরস্কার পেলেন। রঞ্জন সিনহা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। ২০০০ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। এর আগেও বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি তার সামাজিক কাজকর্মের জন্য। রঞ্জনবাবু বিজেপি দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী। একসময় ঊনকোটি জেলার বিজেপি দলের জেলা সভাপতি ও তিনি ছিলেন। আজ পর্যন্ত রঞ্জন সিনহার বিরুদ্ধে খারাপ কিছুই শোনা যায়নি এমনকি উনার বিরোধী দল অর্থাৎ সিপিএম এবং কংগ্রেস দলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গেও উনার সখ্যতা বরাবরই দেখা গেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী এবং ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহার সঙ্গে অনেক সময়ই এক মঞ্চে, একসাথে রঞ্জন সিনহা কে দেখা গেছে। সাত ডিসেম্বর শুক্রবার রঞ্জনবাবু দুপুরে দিল্লি থেকে কৈলাসহরে আসেন। কৈলাসহরে প্রবেশ করার পথে চিড়াকুটি এলাকায় একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে বি এম ওয়াই এ এর উদ্যোগে রঞ্জন বাবুকে সংবর্ধনা জানানো হয়। বি এম ওয়াই এ মঞ্চে একই সাথে শাঁচাক ক্লাব, নৌ সেবা সমিতি, ক্লাব স্কাইলার্ক, নবতারা ক্লাব এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। রঞ্জন সিনহা আজকে কৈলাশহর আসার খবর চাউর হতেই চিড়াকুটি সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গেইট, ফ্লাক্স, ব্যানার ইত্যাদি লাগানো হয়। চিড়াকুটি এলাকায় প্রচুর সাধারণ জনতার ভিড় হয়। এই চিড়াকুটি এলাকাতেই রঞ্জন বাবুর নিজস্ব বাসভবন। তিনি কৈলা শহরে প্রবেশ করে চিড়াকুটিতে অস্থায়ী সংবর্ধনা মঞ্চে আসার পুর্বে প্রথমে নিজের বাড়িতে গিয়ে ৯৫ বছরের বৃদ্ধ পিতার হাতে তার রাষ্ট্রীয় গৌরব সম্মানখানা তুলে দেন এবং পিতাকে প্রণাম করেই সোজা চলে আসেন চিড়াকুটিতে অস্থায়ী সংবর্ধনা মঞ্চে। খবরে প্রকাশ, রঞ্জন সিনহার যোগ্য উত্তরাধিকারী উনার একমাত্র কন্যা কুন্তলা সিনহা। পিতার মতই কুন্তলা সিনহা ও কৈলাসহরে সমাজ সেবিকা হিসেবে পরিচিত নাম। বিগত দশ বছর ধরে চাইল্ড লাইন এর সঙ্গে জড়িত কুন্তলা সিনহা সমাজের সব অংশের মানুষের কাছে অতি-প্রিয় এবং অতি-পরিচিত একজন।
0 Comments