ড্রাগসের জাল ছড়িয়ে পড়েছে এবার উত্তর জেলার একমাত্র পলিটেকনিক কলেজেও।


IIW: বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- এত নেশা বিরোধী অভিযান ! পুলিশ ও অভিভাবকরা সতর্ক। তবুও নেশার করাল গ্রাস থেকে যুবসমাজকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ড্রাগস এর জাল ছড়িয়ে পড়েছে এবার উত্তর জেলার একমাত্র পলিটেকনিক কলেজেও। পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্রকে কিছুদিন আগে কলেজ ইউনিফ্রম পড়া অবস্থায়  ড্রাগস সংগ্রহ করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে এক ট্রাফিক পুলিশ। এরা নাবালক থাকায় অভিভাবক ডেকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পলিটেকনিক কলেজে ড্রাগস্ এর জাল এতোখানি বিরাজ করছে যে ছাত্র থেকে শুরু করে আজকাল ছাত্রীরাও ড্রাগস্ সেবন করছে বলে সূত্রের খবর। ধর্মনগর থানার পুলিশ শিবু পাল নামের এক যুবকের বাড়িতে হানা দিয়ে ড্রাগস ব্যবহারের সিরিজ ও সামগ্রী পায়। পুলিশের সন্দেহ শিবু পাল এর হাত ধরেই পলিটেকনিক কলেজে ড্রাগস ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যাচ্ছে। তার বাড়িতে দুজন পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র কে পেয়েছে পুলিশ। যার দরুন পলিটেকনিক কলেজে ড্রাগ সাপ্লাই এর বিষয়টি সন্দেহের তালিকায় উঠে আসছে। বর্তমানে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। শিবুকে বেইলে ছাড়লেও তার গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে শিবুর বাড়িতে এলাকাবাসীর অভিযোগ মূলে হানা দেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নেশা সামগ্রী ব্যবহার সহ নেশা সামগ্রী পাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।তবে তার বাড়ি থেকে কোন নেশা সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। অন্যদিকে পলিটেকনিক কলেজে প্রায়ই বাইক নিয়ে বহিরাগত যুবকদের আনাগোনা করতে দেখা যায়। এরা কারা রোমিও না ড্রাগস কারবারি সন্দেহ জনমনে।পলিটেকনিক কলেজের এ ধরনের কাণ্ডকীর্তি সামনে আসতেই অভিভাবকরা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। তবে কলেজের প্রিন্সিপাল তীর্থরাজ সেন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিষয়টি উনার জানা নেই। কলেজে সিসি ক্যামেরা রয়েছে তিনি এখন থেকে সব কিছু নীরীক্ষণ করবেন। তবে কলেজের বাউন্ডারি না থাকায় বহিরাগতরা অবাধে প্রবেশ করতে পারে বলে প্রিন্সিপালের বক্তব্য।

Post a Comment

0 Comments