IIW: দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর :- কৈলাসহর ইরানি থানার অন্তর্গত খাওরাবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে চলছিল গ্রাম সভা। গ্রাম সভায় পঞ্চায়েত সচিব, পঞ্চায়েত সদস্য সহ গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। গ্রাম সভা শেষ হবার পর পঞ্চায়েতের কৃষি দপ্তরের একটি ট্রাক্টর কোথায় আছে জানতে চাইলে আতর আলী নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক উত্তম-মধ্যম দেয় পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীবাস নমঃ এর সাগরেদ রা। আতর আলী সহ আরেকজনকে বেধড়ক মারের ফলে দুজনই বর্তমানে কৈলাসহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নয় আসন বিশিষ্ট খাওরাবিল গ্রাম পঞ্চায়েতটি সি পি আই এম এর দখলে। নয় আসনের মধ্যে সিপিআইএম দলের ছয় জন সদস্য রয়েছেন এবং কংগ্রেসের সদস্য আছেন তিনজন। মারধরের পর পঞ্চায়েত সচিব ইরানি থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত করেন। অথচ মামলায় কারো নাম নেই। সচিবের এই ভূমিকায় গ্রামবাসীরা যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীবাস নমঃ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্বীকার করেন যে, ট্রাক্টর নিয়েই ঝামেলা হয়েছে। তবে প্রধান শ্রীবাস বাবু ট্রাক্টর এর সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। কারণ বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে জানা যায়, প্রধান গত দেড় বছর পূর্বে অবৈধভাবে সরকারি ট্রাকটার গ্রামেরই এক যুবকের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। যদিও ট্র্যাক্টর নিয়ে পরবর্তী সময়ে মামলা হয়েছিল, বর্তমানে আদালতে তার বিচার চলছে। আতর আলী সহ দুজন মার খাবার ঘটনা চাউর হতেই ঘটনাস্থলে যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি অরুপ দেবের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ইরানি থানাতে ওসি শক্তি শাধন বাবুর নিকট আসামি গ্রেপ্তারের জন্য দাবি করেন। আহত আতর আলী সহ দু'জন বিজেপি দলের কর্মী। আতর আলীর ভাই ইরানি থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। পুলিশ ৬ জনের মধ্যে আবতার আলীর ছেলে মুজাফর আলীকে গ্রেপ্তার করে। বাকি ৫ জন এখনো পলাতক ওসি অরুপ দেবকে আশ্বস্ত করেন যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ বাকিদের গ্রেফতার করবে।
0 Comments