কৈলাসহর সিঙ্গিরবিল এলাকায় রাত্র আটটায় একসাথে এগারোজন অপরিচিত যুবক যুবতী, খবর যায় পুলিশে।


IIW: নিজস্ব প্রতিনিধি, দেবাশীষ দত্ত, কৈলাসহর :- বারো ডিসেম্বর বুধবার রাতে কৈলাসহর সিঙ্গিরবিল এলাকায় একসাথে এগারোজন যুবক যুবতী ঘুরতে গেলে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়। তখন রাত্র আনুমানিক আটটা। স্থানীয় মানুষ যুবক-যুবতীদের আটকে রেখে স্থানীয় এসপিও ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পাওয়া মাত্রই ক্যাম্পের জওয়ানরা এগারোজন যুবক-যুবতীদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ক্যাম্প এ নিয়ে গিয়ে কৈলাসহর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি চৈতন্য রিয়াংকে ঘটনাটি জানান জওয়ানরা। কৈলাসহর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি চৈতন্য রিয়াং সঙ্গে সঙ্গে কৈলাশহর থানা এবং মহিলা থানা দুই থানা থেকে স্টাফ পাঠিয়ে এগারোজন যুবক-যুবতীদের কৈলাসহর থানায় নিয়েআসা হয়। এগারোজন যুবক যুবতীর মধ্যে চারজন মেয়ে এবং সাত জন ছেলে ছিল। থানায়  আনার পর চারজন যুবতীদের মহিলা থানায় এবং সাত জন ছেলেকে কৈলাশহর থানায় আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রাত আনুমানিক বারোটা নাগাদ এদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে কৈলাসহর থানা থেকে এদের জামিনে মুক্তি দেন। ঘটনা সম্পর্কে কৈলাসহর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি চৈতন্য রিয়াং মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে বলেন, ধৃত এগারোজন যুবক যুবতী আগরতলা ইকফাই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রী। এগারোজন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে একজনের বাড়ি অরুণাচল প্রদেশ, আরেকজনের বাড়ি আসামে, আরেকজনের বাড়ি সিকিমে ও বাকি সবার বাড়ি ত্রিপুরাতে। এরা সবাই গতকাল কৈলাসহরে এসে কৈলাসহরে এক হোটেলে উঠে। হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে বিকেলে ঊনকোটি দেখতে যায়। ঊনকোটি দেখে এরা সন্ধ্যার পর কৈলাশহর সিঙ্গিরবিল এলাকায় যাওয়া মাত্রই স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে থানা তে থাকাকালীন সময়ে মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে ছাত্র ও ছাত্রীদের কথায় প্রায় অমিল ছিল। তবে এরা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছিল যে এরা আগরতলা ইকফাই ইউনিভার্সিটির।

Post a Comment

0 Comments