ধর্মনগর শহরে নতুন আত্মপ্রকাশ করল একটি সামাজিক সংগঠন " পতাকাল "।


IIW: দয়ানন্দ চৌধুরী, নিজস্ব প্রতিনিধি, পানিসাগর :- " জীহ্বা বাট্টি কর, উনাভাতে দুনা বল, অধিক ভাতে রসাতল। লায় আটে বয় না, তার নাগাল কেউ পায় না।" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিগত পঁচিশে নভেম্বর উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর শহরের কিছু সংখ্যক শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন সমাজসেবী 'পতাকাল' নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে আজ সকাল সাত ঘটিকায় ধর্মনগরস্থিত নয়াপাড়া ডি ডব্লিউ এস অফিস সংলগ্ন স্থান থেকে পায়ে হেঁটে দশ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল চামটিলা, জ্বলেবাসা হয়ে সুদূর কাঞ্চনপুরে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এই পদযাত্রা শেষ হবে কাঞ্চনপুর সৎসঙ্গ আশ্রমের সামনে। এতে উপস্থিত ছিলেন পতাকাল এর সভাপতি শ্রীযুক্ত মনোরঞ্জন নাথ, সম্পাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীযুক্ত কালিশংকর সরকার, কোষাধক্ষ্য শ্রীযুক্ত অঞ্জন দেবনাথ ও উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রী দলটিকে জ্বলেবাসা পৌছামাত্র এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সমাজসেবী গণ হাসপাতাল চত্বরে তাদেরকে জল পান করানোর ব্যবস্থা করেন। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক ইনচার্জ শান্তনু পাল। তারা সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে যুব সমাজ আজ বিপন্নতার পথে। যার দরুন একটা সুস্থ সবল সমাজ গঠনে বর্তমান যুব সমাজ কে সঠিক পথে পরিচালিত করতে এই পদক্ষেপ। আজকাল সকালে হাঁটার প্রথা প্রায় বিলুপ্তির পথে। যান্ত্রিক যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার দরুন রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি করে পরিলক্ষিত হচ্ছে। খাবার দাবার এর মধ্যে কোন বাধ্যবাধকতা নেই, যার দরুন একটা অংশ দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছে। তাই রোগ মুক্ত সমাজ গঠনে পতাকালের এই প্রয়াস। আগামী দিনে এদের অনুপ্রেরণায় যেন বর্তমান যুব সমাজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি দল মত নির্বিশেষে তাদের এই প্রয়াসকে গোটা রাজ্যের তথা বহি রাজ্যের প্রসারিত করার আহ্বান রাখেন। আগামী দিনেও তারা সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আরও কর্মসূচি আয়োজন করবেন বলে জানান। তাদের এই প্রয়াসকে স্বাগত জানান সমগ্র উত্তর জেলা তথা জ্বলেবাসার উৎসাহী জনগণ।

Post a Comment

0 Comments