IIW: দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর :- কৈলাসহর শহর-উত্তরাঞ্চলের টিলাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি। এই সমিতি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সুনামের সহিত চলছে। এই সমিতির /প্যাক্সের সরকারি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, যার নাম্বার হল ৪২৭।প্যাক্সের নিজের নামে পয়েন্ট সাতান্ন একর ধানের জমি রয়েছে। প্রায় চল্লিশ বছর পূর্বে এই ধানের জমি কিনে ছিল।এই জায়গার দলিল, পর্চা প্যাক্স এর নামে আছে। প্রতি বছর ধানের মরশুমে প্যাক্স কৃষককে দিয়ে ধান চাষ করাতো টাকার বিনিময়ে। বিগত দু'বছর ধরে এলাকারই মানিক মিয়া এবং রাজু মিয়া সহ আরো কয়েকজন প্যাক্সের এই ধানের জমি দখল করে নিজেরাই ধান চাষ করে, নিজেরাই ফসল ভোগ করছে বলে ম্যানেজার মুকুদ্দস আলী জানান। ম্যানেজার আরও জানান যে অনেকবার ওদের বলা হয়েছিল মৌখিকভাবে জমির দখল মুক্ত করার জন্য, মৌখিক কথায় ওরা পাত্তা দেয়নি। প্যাক্স স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, স্থানীয় ইরানি থানার মাধ্যমেও চেষ্টা করেছিল কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তারপর বাধ্য হয়ে গত অক্টোবর মাসে কৈলাসহরের এসডিএম বিশাল কুমার এর নিকট লিখিত অভিযোগ করে। এসডিএম সঙ্গে সঙ্গেই নোটিশ জারি করে সাত দিনের সময় দেন। এর পরেও দখলমুক্ত না হওয়ায় এসডিএম বিশাল কুমারের আদেশে আজ ডিসিএম অরিন্দম দাস ইরানি থানার বিশাল টিএসআর এবং পুলিশ বাহিনী নিয়ে তঃসিলদার ও আড়াই কে সঙ্গে নিয়ে জায়গায় হাজির হন। এবং দখলমুক্ত করে ম্যানেজারের কাছে জায়গা বুঝিয়ে দেন। এরপর ডিসিএম অরিন্দম দাস মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে বলেন, টিপিপি অ্যাক্ট মূলে এসডিএম বিশাল কুমারের নির্দেশে আজ এসে মানিক মিয়া এবং রাজু মিয়া সহ আরো কয়েকজন অবৈধভাবে জায়গাটি দখল করেছিল তাদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে জায়গাটি ম্যানেজারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আর জায়গার যে ধান গুলি ছিল সেই ধান গুলি প্রশাসনের তরফ থেকে শ্রমিক দিয়ে কেটে এসডিএম অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, জায়গার অবৈধভাবে দখলদার মানিক মিয়া ও রাজু মিয়া সিপিআইএম দলের প্রথম সারির সদস্য ছিলেন। মানিক এবং রাজুর সঙ্গে স্থানীয় সিপিআইএমের প্রভাবশালী নেতা কোয়েশ মিয়ার সুসম্পর্ক ছিল। জায়গাটি দখলে কোয়েশ মিয়ার পরোক্ষ মদত ছিল বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়।
0 Comments