চুড়াইবাড়ী দিয়ে রাজ্যে অবৈধ নেশা সামগ্রী প্রবেশ করেছে চুড়াইবাড়ী থানার ২-৩ জন গুণধর পুলিসের কারণে।



IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পানিসাগর থানার পুলিস শনিবার রাতে অভিযান চালায় পানিসাগর-আগরতলা জাতীয় সড়কে। আগাম খবর ছিল আসামের লোয়াই পোয়া থেকে AS01 JC 9374 নম্বরের ৬ চাকার লড়ি গাড়ী করে ত্রিপুরায় নেশা সামগ্রী আনা হচ্ছে। কিন্তু রাত থেকে অভিযানে নেমে ভোর রাতে গাড়ীটি পানিসাগর সিলেটী ক্যাম্প এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখে পুলিস গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় এবং প্রথমে গাড়িতে কি আছে জিজ্ঞাসা করতেই গাড়ী চালক বলে গাড়ীতে মুরগী ফার্মের জন্য পশু খাদ্য নিয়ে যাছে বলে এবং কাগজ দেখায়। কিন্তু পুলিসের কাছে আগাম খবর থাকায় পুলিস গাড়ীতে তল্লাশি চালায়। গাড়ীটির ঢাকনা খুলতেই দেখা যায় এতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বেলেতি মদ। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ীটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গাড়ি থেকে মোট ৩৭০ বাক্সে ৪৪৪০ বোটল বিলেতি মদ পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। গাড়ী চালক কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা নরেন্দ্র নাথ কে জিজ্ঞাসা করে জানা যায় এই মদ সে আসামের  লোয়াই পোয়া থেকে নিয়ে আসছিল। এই মদ সে পানিসাগরে গণেশ দেবনাথের জন্য নিয়ে আসছিল। সূত্রে জানা গেছে আসাম থেকে চুড়াইবাড়ী দিয়ে রাজ্যে অবৈধ নেশা সামগ্রী প্রবেশ করেছে চুড়াইবাড়ী থানার ২-৩ জন গুণধর পুলিসের কারণে। যার মধ্যে একজন সাব ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবল ও একজন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মী জড়িত রয়েছে। না হলে কিভাবে রাজ্যে প্রবেশ করল বেআইনি এই বিলাতি মদ বোঝাই গাড়ীটি? সূত্রের খবর অনুযায়ী এই সাব ইন্সপেক্টর এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এখন দেখার বিষয় পুলিসের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ঘটনার তদন্তে নেমে কি পদক্ষেপ নেয়। কারণ চুড়াইবাড়ী থানার সামনে লাগানো রয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা, রয়েছে পুলিসের চেকপোস্ট, রয়েছে রাজ্যে গাড়ি প্রবেশের পুলিসি রেজিস্টার। সঠিক ভাবে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য বলে ধারণা করছে চুড়াইবাড়ী এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। এর আগে জেলার পুলিস সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী মহকুমার দুই পুলিস অফিসারকে এমনই অভিযোগে সাসপেন্ড করেছেন এখন দেখার বিষয় এই খবর পেয়ে কি পদক্ষেপ নেন পুলিস সুপার।

Post a Comment

0 Comments