IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- দুই বছর পূর্বে গাঁটের টাকা খরচ করে জমি কিনে বর্তমানে শাসক দলীয় নেতাদের দাপটে সেই জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এক দরিদ্র পরিবার। ঘটনা চুড়াইবাড়ি থানাধীন গোবিন্দপুর এলাকায়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, আজ থেকে দুই বছর পূর্বে পদ্মা রানী পাল ও রেনুরানী পালের নিকট থেকে ৪১ শতক ধানের জমি বৈধভাবে ক্রয় করে ওই এলাকার কামাল হোসেন, পিতা মনির আলী নামে এক যুবক। দুই বছর সে নিজের জমিতে ধান চাষ করে ফসল ফলিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর এলাকার কিছু শাসক দলীয় নেতা ও মাতব্বররা সেই জায়গাটি আখড়ার বলে দাবি করে জবর দখল করে। বহু পূর্বে ওই আখড়া ব্যক্তিগত মালিকানা ছিলেন তৎকালীন প্রতিষ্ঠাতা এক বৈষ্ণব। কিন্তু বহু পূর্বে ওই বৈষ্ণব মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সূত্রে ওনার দুই নাতনি রেনু রানী পাল ও পদ্মা রানী পাল নিজেদের জায়গা বলে বৈধ ভাবে দাবি করে কামাল হোসেনের নিকট অর্থের বিনিময়ে ধানের জমিটি বিক্রি করে। কিন্তু দুই বছর ভালো ভাবে কাটলেও বর্তমানে সরকার পরিবর্তনের পর যেন স্থানীয় মাতব্বররা পায়ের নিচের জমি খুঁজে পায়। তারা জোর করে কামাল হোসেনের নিকট থেকে সেই ধানের জমি কাঞ্চন শুক্ল বৈদ্য নামে এক ব্যক্তিকে চাষের জন্য দিয়ে দেয়। বর্তমানে নিরুপায় হয়ে কামাল আইনের দ্বারস্থ হলেও অজ্ঞাত কারণে চুড়াইবাড়ি থানা বাবুরাও মন্তর গতিতে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। চুরাইবাড়ি থানার এএসআই বিষ্ণুপদ ঘোষ ঘটনাস্থলে গেলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি থানার সেকেন্ড অফিসার সাধন মজুমদারকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন নিজে কিছুই বলতে পারবেন না তাছাড়া এসপির নির্দেশ সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলা চলবে না। সাহেবের নির্দেশ বলে কথা অবশ্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। তাই থানার তদন্ত পর্যায়েও রয়েছে ব্যাপক প্রশ্ন চিহ্ন। কেনই বা উপযুক্ত বিচারে এগিয়ে আসেছে না এবং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে ভয় পান। এদিকে কামাল হোসেন ন্যায্য অর্থের বিনিময়ে জায়গা ক্রয় করে নিজের নামে কম্পিউটার পরচা এবং দলিল ও উপযুক্ত প্রমাণ হিসেবে থানা কর্তৃপক্ষকে দেখালেও তারা অজ্ঞাত কারণে দুই নৌকায় পা দিয়ে বসে রয়েছেন। নাকি স্থানীয় মাতব্বর ও শাসক দলীয় নেতাদের কথায় নতজানু হয়ে বসে রয়েছেন। তাই বিচারের বাণী যেন নীরবে কাঁদে কামালের। অবশেষে সে সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনের কাছ থেকে কতটুকু সহায়তা পায় অসহায় কামাল।
0 Comments