IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- একটা সময় কালাছড়া ব্লকের অধীন ভাগ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন ধর্মনগর সাকাইবাড়িস্থিত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাফিজ। বর্তমানে আব্দুল হাফিজ পানিসাগর আর ডি ব্লকে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠার পরেই আব্দুল হাফিজ কে পানিসাগর আর,ডি ব্লকে বদলি করা হয়। ২২ অক্টোবর পঞ্চায়েত সচীব আব্দুল হাফিজের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে কালাছড়া ব্লকের আধিকারিক তরনী কান্ত সরকার ধর্মনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ডি.এস.পি হেড কোয়াটার ডি ডার্লং মামলাটির তদন্তকারী অফিসার হিসাবে তদন্ত শুরু করেন। আব্দুল হাফিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্ট্রিট লাইট প্রকল্পের ৪ লক্ষ ৮ হাজার ১৬ টাকা কোন ধরনের নির্দেশ ছাড়াই ২০১৯ এর অক্টোবর মাস থেকে তুলে ব্যয় করে নেন তিনি। পরবর্তী সময় চাপে পড়ে কিছু টাকা ফেরত দিয়ে দেন বলে সুত্রের খবর। এইদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ডি.এস.পি হেড কোয়াটার ডি ডার্লং অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সচিব আব্দুল হাফিজকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী।অভিযোগ মেলার মাঠের লাল বাড়ির ঘনিষ্ঠ আব্দুল আফিজ বাম আমলে ভগ্যপুর পঞ্চায়েতে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করে গেছেন। তার বিরুদ্ধে বাম আমলে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তখন সকলে ছিল নিরব দর্শক। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারী অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন গুণধর পঞ্চায়েত সচিব আব্দুল হাফিজ। দাবি উঠেছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সচিবের কঠোর শাস্তির।
0 Comments