IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা :- ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষে পূর্ত দপ্তরে আর্থিক দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীকে ৮ নভেম্বর জিবি হাঁসপাতাল থেকে ছাড়ার পর বিশেষ আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেই দিন বিকালে বিশেষ আদালতে বাদল চৌধুরীকে তোলা হয়। আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে বাদল চৌধুরীর ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানানো হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী বাদল চৌধুরীর পুলিশ রিমান্ডের আবেদনের পক্ষে জোরালো দাবি জানান। অপরদিকে বাদল চৌধুরীর আইনজীবী জানান বাদল চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নেই। এই অবস্থায় বাদল চৌধুরীকে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হলে তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই বাদল চৌধুরীকে পুলিশ রিমান্ডে না পাঠিয়ে জেল হেপাজতে পাঠানো হোক। এবং বাদল চৌধুরীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হোক। আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর কোন রায় দেয়নি। রায় রিজার্ভে রাখে।এই মামলার শুনানির জন্য ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। ততদিন বাদল চৌধুরীকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক সোমবার বাদল চৌধুরীকে পুনঃরায় বিশেষ আদালতে তোলা হয়। এইদিন বিশালগড়স্থিত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে সরাসরি বাদল চৌধুরীকে বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতে এইদিন সরকার পক্ষ থেকে বাদল চৌধুরীর ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের যে আর্জি জানানো হয়েছিল তার শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বাদল চৌধুরীর চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে বেশ কিছু শর্ত জুরে দেওয়া হয়। সেই শর্ত গুলির মধ্যে রয়েছে বাদল চৌধুরীকে আলাদা রুম, বিছানা, টয়লেট, চিকিৎসক প্রদান করতে হবে। বাড়ির লোকদের দেখা করার সুযোগ দিতে হবে। থানায় এই ব্যবস্থা করতে না পারলে জেলে আলাদা রুমের ব্যবস্থা করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
0 Comments