IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশ্রামগঞ্জ :- বিশ্রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত পাথালিয়া ঘাট এডিসি ভিলেজের লুংতাং ছড়া এলাকার বাসিন্দা মধু মিঞা। তার সাথে বেশ কয়েক বছর পূর্বে বিয়ে হয়েছিল তাসমিন আক্তারের। তাদের তিন সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ তাদের সংসারে প্রতিনিয়ত অশান্তি লেগে ছিল। এরই মধ্যে ৬ থেকে সাত মাস পূর্বে মধু মিঞা অপর এক মহিলাকে বিয়ে করে। তারপর তাসমিন আক্তার বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। মাঝে মধ্যে স্বামীর বাড়িতে আসতো। অভিযোগ শনিবার রাতে মধু মিঞা বাড়িতে আসার পর অজয় মজুমদার নামে এক মাংস ব্যবসায়ী মধু মিঞাকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রবিবার সকালে বাড়ির অদূরে রাবার বাগান থেকে মধু মিঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মধু মিঞার বোন সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান রাতে তারা মধু মিঞার খোঁজাখুজি শুরু করলে তাসমিন আক্তার তাদেরকে বাধা দান করে। তাই তাদের সন্দেহ তাসমিনা আক্তার মধু মিঞাকে হত্যা করিয়েছে। এইদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। রবিবার বিকালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মধু মিঞার পরিবার সুত্রে জানা যায় মধু মিঞার প্রথম স্ত্রী তাসমিন আক্তারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল মাংস ব্যবসায়ী অজয় মজুমদারের। শুধু তাই নয় এক মাস পূর্বে তাসমিন আক্তার একটি সংস্থা থেকে দেড়লক্ষ্য টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণ নেওয়ার সময় মধু মিঞাও স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু পরে তাসমিনা সেই টাকা কি করেছে তা মধু মিঞা জানতে চাইলে অশান্তি চরমে পৌছায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে তাসমিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু এখনো পলাতক অজয় মজুমদার। অজয় মজুমদারকে জালে তোলার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে কি কারনে মধু মিঞাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।
0 Comments