মহিলা মোর্চার তৎপরতায় নাবালিকা বিবাহ এবং বিয়ের পর মেরে ফেলার প্রচেষ্টায় গ্রেপ্তার নাগর কিশান কুমার।

IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- ধর্মনগর মন্ডলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপালী অধিকারীর তৎপরতায় নাবালিকা গৃহবধূ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলো। ধর্মনগর মহিলা থানায় এ বছরের প্রথম মামলা, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬(এ)/৩৪২/৩৭৬/১০৯ এবং পস্কো অ্যাক্ট ৪ এ মামলা গৃহীত হয়েছে। নাগর কিশান কুমারকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার কোর্টে তোলে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পদ্মপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ব্যাবসায়ী শ্রমিক কিশান কুমার মেয়েটির পরিবারের উপর তাকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ২৯শে জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন তারা বিয়ে করে। এই শ্রমিক পদ্মপুর স্থিত স্বপন নাথের বাড়িতে ভাড়া থাকে। কিশানের দাদা বলে পরিচিত সুনীল রায় তাকে যথেষ্ট সাহায্য করে। কিন্তু ২০ দিনের মধ্যেই নাবালিকার উপর অত্যাচারের মাত্রা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। বুধবার অর্থাৎ ১৯ শে ফেব্রুয়ারি মেয়ের গলায় ব্লেড ধরে তাকে মেরে ফেলার উপক্রম করে কিশান। মেয়েটি তার হাতে কামড় দিয়ে পদ্মপুর - মান্ডপপাড়া লিঙ্ক রোডের নিবাসী বীণা দে এর মা পূর্ণিমা দে এর কাছে চলে যায়। মেয়েটি পূর্ণিমা দে কে মাসী বলে ডাকে, তাই মা, বাবার উপর নির্ভর না করে বাঁচার জন্য মাসীর কাছে আশ্রয় নেয়। মাসী প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। সন্ধ্যার পর হৈচৈ পড়ে যায় শহরে। এলাকাবাসীর তৎপরতায় পুলিশ কিশানকে সাথে সাথেই গ্রেপ্তার করে এবং তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়।

Post a Comment

0 Comments