IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি :- করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে চুড়াইবাড়িতে আটক দুই আয়ারল্যান্ড প্রবাসী ভারতীয় নাগরিককে বিশেষ তদন্তের পর অবশেষে ছেড়ে দিল করিমগঞ্জ জেলার আসাম চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ। ইউরোপ মহাদেশের আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে হয়ে প্রথমে ত্রিপুরাতে প্রবেশ করে ওই বিদেশি দম্পতি। তারপর সেখানে পাঁচ দিন হোটেলে রাত্রি যাপনের পর আজ আসাম এর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পথে তাদের আটক করে আসাম চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ।এই ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করলেও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সন্দেহের জল বেশি দূর গড়ায়নি।চীনের নভেল করোনা ভাইরাসের কুজর বর্তমানে গোটা বিশ্বের উপর প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এই ভাইরাসকে এক মহামারি রোগ বলে ইতিমধ্যে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের থাবা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে।এতে স্বাভাবিক ভাবে জনমনে চরম হতাশা বিরাজ করছে।ভারতেও এ রোগের কিছুটা প্রকোপ পড়েছে বলে জানা গেছে।তবে বিষয়টির উপর ভারত সরকার সহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ কড়া নজর রেখে চলছে। বিভিন্ন স্থানে খোলা হয়েছে বিশেষ পরীক্ষা কেন্দ্র সহ বিদেশী পর্যটকদের জন্য জরুরিকালিন চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্র। একিসাথে দেশের প্রতিটি স্বাস্থ্য বিভাগকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশও জারি করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি চেকগেটেও তল্লাশি জোরদার করে তোলা হয়েছে।এদিকে সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি যাবার পথে এক যাত্রীবাহি বাসে চুড়াইবাড়ি পুলিশের রুটিন তল্লাশিতে ধরা পড়েন দুই আয়ারল্যান্ড প্রবাসী ভারতীয় নাগরিক। পুলিশ তাদেরকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আটক করে বলে জানিয়েছে। আটক দুজনের মধ্যে রয়েছেন একজন পুরুষ ও একজন মহিলা। তাদেরকে অনেকে বিজনেস পার্টনার বলে ধারনা করলেও তারা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী বলে জানিয়েছেন বাজারিছড়া থানার ওসি নির্মলকান্তি দে। তিনি আরও জানান যে তারা দুজন ওয়ার্ল্ড লাইফ প্রজেক্ট নিয়ে বিভিন্ন দেশ বিদেশে ঘুরে কাজ করে চলছেন।তাদেরকে বিশেষ তদন্তের পর তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে জেনে নেবার পর তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে চুড়াইবাড়ি পুলিশ ওয়াচ পোষ্টের ইনচার্জ মিন্টু শীল জানান যে ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন রিয়ান(বত্রিশ)ও মিলি রিয়ান(চল্লিশ)। রিয়ান জন্মসুত্রে আইরিশ এর নাগরিক হলেও মিলি ভারতীয়। মিলির বাড়ি অসমের তিনসুকিয়ায়। তারা বর্তমানে উভয়েই গুয়াহাটির স্থায়ী বাসিন্দা।তাদেরকে আটক করার পর খবরটি জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় তারা দুজন আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করে প্রথমে আগরতলা ও পরে চুড়াইবাড়ি হয়ে গুয়াহাটি যাবার উদ্দেশ্যে ছিল। এখানে তাদেরকে করোনা ভাইরাস সন্দেহে আটক করা হয়। পরে জানা যায় যে তারা ত্রিপুরার দুটি স্থানে প্রশাসনিক স্তরে কোরনা ভাইরাস টেস্ট করিয়েই গন্তব্যে ফিরছিলেন।এমনটি করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুত্রে অবগত হবার পরই এই দম্পতিকে স্বসম্মানে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
0 Comments