ইরানি স্কুলের চুরির ঘটনায় নিম্নমানের কাজ কেই দায়ী করলেন প্রধান শিক্ষক।


IIW: দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাশহর :- চুরের তাণ্ডবে নাজেহাল ইরানি হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্কুলের পঠন-পাঠন। এতদিন স্কুলের ফ্যান, লাইট, জলের মোটর চুরি হয়েছে কিন্তু এবার বড় ধরনের চুরি হল বিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যালয়ের জন্য নবনির্মিত কম্পিউটার ল্যাবের জানালার গ্রিল ভেঙে চোরের দল বহু মূল্যের দুইটি এসি মেশিন সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র এমনকি ঘরের সমস্ত বিদ্যুতের তারও নিয়ে যায় চোরের দল। শুক্রবার স্কুল বন্ধ ছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর প্রধান শিক্ষক ইরানি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পূর্বের এবং বর্তমানের চুরির ঘটনায় পুলিশের দায়সারা তদন্তের ফলে কাউকে গ্রেফতার কিংবা চুরির জিনিসপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে এসএমসি কমিটির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্ররা। এম এস ডি পি প্রকল্পে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে কৈলাশহর মহকুমার গৌরনগর ব্লকের অধীনে ইরানি হাই স্কুল এর জন্য কম্পিউটার ল্যাব নির্মিত হয়। বসানো হয় ২ টি দামি এসি মেশিন সহ বিদ্যুতের আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। কিন্তু তা চুরি হয়ে যায়। প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ইরানি হাই স্কুলের বর্তমান ছাত্র সংখ্যা ৫৪৬ জন। তবে বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় নিম্নমানের কাজ কেই দায়ী করলেন প্রধান শিক্ষক। কাজের মান অত্যন্ত খারাপ ছিল, এ ব্যাপারে ভিডিও বিনয় ভূষণ দাস কে বারবার বলা সত্ত্বেও কাজ হয়নি। ফলে চোরের দল অনায়াসেই গ্রীল খুলে চুরি করে নিয়ে যায়। বিল্ডিংটি এখনো বিদ্যালয় কে হেন্ডওভার করা হয়নি। একের পর এক চুরির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা। থানার নাকের ডগায় এই ইরানি  স্কুলে, একের পর এক  চুরিতে ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নেই। চুরির ভয়ে কম্পিউটার ইনস্টল করছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ, তাই ক্লাস ব্যাহত হচ্ছে। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, এটাই এলাকাবাসীর অভিমত।

Post a Comment

0 Comments