IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, দেবাশীষ দত্ত, কৈলাসহর :- ৮ আগস্ট ২০১৯ নবম রাউন্ড জাতীয় কৃমিনাশক দিবস কর্মসূচি সংগঠিত করা হবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, উচ্চতর বিদ্যালয় স্তরে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মহাবিদ্যালয় গুলিতে এই দিন এক থেকে ১৯ বছর বয়সের শিশু ও কিশোর কিশোরীদের বিনামূল্যে কৃমিনাশক ঔষধ অ্যালবেনডাজল খাওয়ানো হবে। যে সকল ছেলে মেয়েরা এদিন কোন কারণে অনুপস্থিত থাকবেন তাদেরকে আগামী ১৯ আগস্ট পুনরায় কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। আজ আর জি এম হাসপাতলে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান ঊনকোটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর শরদিন্দু রিয়াং। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক শ্যামল দাস, জেলার নোডাল অফিসার ডক্টর শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ ও সিডিপিও অয়ন ভৌমিক। ঊনকোটি জেলা কে কৃমি মুক্ত করতে সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কৃমিনাশক দিবস হিসাবে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এক থেকে ১৯ বছর বয়সী সকল নথিভূক্ত শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কৃমি মুক্তির জন্য কৃমিনাশক ঔষধ এর ট্যাবলেট খাওয়ানো শুরু হয় ৮ ই আগস্ট। ২০১৯ সালে চলছে তার নবম রাউন্ড। এবারের এই রাউন্ডের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে রাজ্যের ক্ষেত্রে ১২ লক্ষ ১৯ হাজার ১৮ জন, ও ১২ বছরের শিশুদের দেওয়া হবে ২০০ মিলিগ্রাম এর অর্ধেক ট্যাবলেট এবং বাকিদের দেওয়া হবে ৪০০ মিলিগ্রাম এর সম্পূর্ণ ট্যাবলেট। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে ১ থেকে ৬ বছরের শিশুদের এই ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি ৪৫৫২ টি স্কুলে এবং ৯৬ টি কলেজ ও মহাবিদ্যালয় খাওয়ানো হবে। শিশু ও কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উপর মাটি গঠিত কৃমির কু প্রভাব রয়েছে। তিমিরেই কুপ্রভাবে রক্তাল্পতা,পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, ক্ষুধামন্দা, অপুষ্টিজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি হতে পারে যার ফলে ছেলে মেয়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়, মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটায় বাধা প্রদান করে এবং বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার বেড়ে যায়। তাছাড়া সঠিক সময়ে কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধ না করলে নানা ধরনের উপসর্গ যেমন মস্তিষ্ক গঠিত নিউরোসিস, ফুসফুস লিভার ও এমনকি ক্ষুদ্রান্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কৃমির সংক্রমণ রোধে ভারত সরকার ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কৃমিনাশক দিবস হিসাবে সমস্ত সরকারি বেসরকারি স্কুল অঙ্গনারী কেন্দ্র থেকে ১৯ বছর বয়সী সকল নথিভুক্ত এবং অনাথ শিশু কিশোর কিশোরীদের কৃমি মুক্তির জন্য কৃমিনাশক ঔষধ অ্যালবেনডাজল ট্যাবলেট খাওয়ানো শুরু করে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শরদিন্দু রিয়াং উনার বক্তব্যে বলেন যে এই কৃমিনাশক ওষুধ সম্পূর্ন পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন তাই অহেতু ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। জেলার সমস্ত অভিভাবক যেন নির্দিষ্ট জায়গায় শিশু থেকে কিশোর কিশোরী সবাইকে এই ওষুধ খাওয়ানোর জন্য পাঠায় সে বিষয়ে তিনি অনুরোধ রাখেন। ঊনকোটি জেলা ভিত্তিক কৃমিনাশক দিবসের উদ্বোধন হবে আগামীকাল কুমারঘাট মহকুমার পাবিয়া ছড়া মানসী হলে। উদ্বোধন করবেন বিধায়ক ভগবান দাস। ঊনকোটি জেলার লক্ষ্যমাত্রা সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সিএমও শরদিন্দু রিয়াং।
0 Comments