সর্ষের মধ্যে ভূত! ঘোলা জলে মাছ ধরতে ব্যস্ত জেলা পুলিশ।

IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- শষ্যের মধ্যেই ভূত ! সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে চলছে নেশা পাচার। পাচারকালে বরাবরই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা পাচারকারীসহ নেশা সামগ্রী আটকে সিদ্ধহস্ত। কিন্তু এই পাচার বাণিজ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ত্রিপুরা জেলার একাংশ পুলিশ কর্মী সরাসরি জড়িত। এই তথ্য স্থানীয় সূত্রে উঠে আসতেই কানাঘুষো দেখা দেয় পুলিশ মহলে।
আজ একইভাবে পুলিশের এক কর্মী বাংলাদেশে পাচারের জন্য প্রচুর পরিমাণ এসকফ্ সিরাপ ও ইয়াবা ট্যাবলেট নিজের বাড়িতেই মজুদ করে রেখেছিলেন। এই ঘটনা চাউর হতেই ধর্মনগর থানা এবং জেলা পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনা এড়িয়ে যায়। অবশেষে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর 166 নং ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা ভাগ্যপুর এলাকায় এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ নেশার সিরাপ ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে ধর্মনগর থানার হাতে তুলে দেয়। এখনো পর্যন্ত এই অবৈধ নেশার সিরাপের আসল মালিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে থাকা সত্ত্বেও তারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে ব্যস্ত। জানা গেছে এই কাজে গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মী সরাসরি জড়িত।এদিকে প্রায় প্রতিদিনই পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিভিন্ন থানা এলাকায় নেশা সামগ্রীসহ নাগরদের জালে তুলছে পুলিশ। অবশ্য একদিকে যেমন সাফল্য কুড়াচ্ছে জেলা পুলিশ প্রশাসন, তেমনি অন্যদিকে নেশা কারবারের পেছনে একাংশ পুলিশ কর্মীর যোগাযোগ আছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আজকের এই বিষয়টি তারই ইঙ্গিত দেয়। এখনো পর্যন্ত পুলিশ পরিষ্কার কিছু বলেনি। এদিকে এই মেয়াদোত্তীর্ণ সিরাপের বোতলে নতুন লেবেল লাগিয়ে পুনরায় বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে। 

Post a Comment

0 Comments