IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি :- পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে আহত এক পুলিশ কর্মী। লকডাউন মানা চলবেনা, বাড়িতে না থেকে রাস্তায় আমরা বেরোবো, এই মনোভাব নিয়ে আসাম-ত্রিপুরা সীমান্তের কুর্তি রাজনগর গ্রামে সংখ্যালঘু মুসলিমরা পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। সমস্ত দেশের লোকজনদের রক্ষার্থে গত দুইদিন পূর্বে উত্তর ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন এবং জেলাশাসক আসাম-ত্রিপুরার প্রধান সড়কসহ অলিগলি রাস্তাগুলো সিল করে দেয়। তাতেই যেন মস্তকে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে রাজনগরবাসীর। যথারীতি কুর্তি এলাকাতে পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীর পাহারা চলে। আজও একইভাবে সীমান্তের ওই এলাকাগুলিতে চরম টহলদারি দেয় প্রশাসন। যাতে করে আসামের কোন মানুষ ত্রিপুরাতে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু সেখানে আসামের মানুষ ক্ষুব্দ না হয়ে উল্টো ত্রিপুরা রাজ্যের কুর্তি মধ্যে রাজনগর গ্রামের মানুষরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন কদমতলা পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ সেখানে কদমতলা পুলিশ ও টিএসআর জওয়ানরা ডিউটি করা অবস্থায় স্থানীয় ঊশৃংখল যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে। তাতে সঙ্গে সঙ্গেই কদমতলা থানার কনস্টেবল আস্কর আলী আহত হয়। সেখান থেকে তাকে কদমতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং এলাকায় মোতায়েন করা হয় শতাধিক টিএসআর জওয়ান। সেই বিষয়ে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান, রাতের অন্ধকারে ঢিল ছোড়া দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে একটি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সেই ঘটনায় কারা যুক্ত আগামীকাল তা বেরিয়ে আসবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশ যখন করুণা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে দিনরাত এক করে কাজ করছে সাধারণ মানুষের জন্য তখন যদি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই ইট, পাটকেল খেতে হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে ওরা ডিউটি করবে।
0 Comments