IIW: বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- প্রতিবন্ধী হয়েও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সঙ্গীত নিয়েই বেঁচে আছেন শিল্পি নবনীতা। বহু বাধা, প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে সমাজের একটা অংশের মানুষ তাকে খাটো করে দেখলেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সংগীত নিয়েই বেঁচে আছেন শিল্পী নবনীতা। বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে ঘটা করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি-বেসরকারি ভাবে অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু এই দিনটির পর আমরা ভুলে যাই প্রতিবন্ধীদের। হুইল চেয়ারে থেকে সমস্ত কাজকর্ম করার পাশাপাশি স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রিদের পাঠ ও দেন নবনীতা। ধর্মনগরের রেল স্টেশন এলাকার বাসিন্দা নবনীতা ভট্টাচার্যের কথা আজ আমরা তুলে ধরছি। একজন প্রতিবন্ধী মহিলা উচ্চ শিক্ষিতা, বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আজ বাংলা লোকসংগীত কে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা সহ বহি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ও তুলে ধরছেন। অসংখ্য সম্মানে নানা জায়গায় এই শিল্পীকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। বলতে গেলে চেয়ারেই বসে অনেক কিছু জয় করেছেন নবনীতা। তার মধ্যে জী সারেগামাপা বাংলা টপ ২০ টিতে স্থান দখল করেছিলেন তিনি। স্বামী তমাল শেখর দে এবং এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে নবনীতার সংসার। হুইল চেয়ারে বসে ঘরের সমস্ত রকম কাজ করেন নবনীতা। তিনি যে প্রতিবন্ধী কোন দিকেই বুঝা যায় না। নবনীতা জানান প্রতিবন্ধিদের জন্য সরকার অনেক কিছু করছে তবে আরও কাজ করা প্রয়োজন। প্রতিবন্ধীদের মধ্য থেকে মন্ত্রী, বড় বড় অফিসার, প্রশাসনিক আধিকারিক যখন হবেন তখন এরাই প্রতিবন্ধীদের আসল দরদটা বুঝতে পারবে। এখন যে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ হচ্ছে না তা ঠিক নয়, তবে নবনীতার বক্তব্য প্রতিবন্ধীদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন জরুরি। গানই তার জীবন, গান ছাড়া জীবনকে তিনি ভাবতেই পারেন না। ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে তালিম নিয়ে তার বেড়ে ওঠা। মোদ্দা কথা সংগীত কে আগলে ধরে বেঁচে আছেন শিল্পী নবনীতা।
0 Comments