ধর্মনগর রেল পুলিশের অভিযানে আটক বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী।


IIW : বিকাশ ভট্টাচার্য, নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর:- আজ সকাল থেকেই ধর্মনগর রেল ষ্টেশনে তিন যুবককে ঘুরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় ধর্মনগর RPF পুলিসের নজর রাখা হয় তাদের উপর। বিকেল পণে ৪ টার সময় ধর্মনগর থেকে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে যখন রেল ষ্টেশনে আসে আগরতলা ভস্কনগরের বাসিন্দা রুবেল হুসেন, আলমগির হুসেন, মহাবুল হুসেন এই তিন যুবক, যুবকদের ৩ ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২০০ বোতল এস্ক কফ সিরাপ পাওয়া যায়। তাদের আটক করে রেল পুলিস থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতেই তারা জানায় এই মাল গুলি তারা ধর্মনগর রেল স্টেশন লাগোয়া নর্থ কন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে এনেছে এবং মালিক ঐ হোটেলে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ধর্মনগর থানাকে খবর দেয় RPF পুলিস। ধর্মনগর থানা থেকে পুলিস আসার সঙ্গে সঙ্গে নর্থ কন্টিনেন্টাল হোটেলে ছুটে যায় পুলিস। পুলিস দেখেই পুলিসের সামনে হোটেল থেকে পালিয়ে যায় আসামের দুই ড্রাগ মাফিয়া আলতাফ হুসেন লস্কর ও তার পাটনার নিজাম উদ্দিন লস্কর। পুলিস ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় প্রায় আধ ঘণ্টার দৌড়ঝাঁপের পর পাকড়াও করা হয় ঐ দুই ভিলেনকে। তারপর তাদের হোটেলে থাকা রোম থেকে পাওয়া যায় দুই ব্যাগে আরও ৪০৪ বোতল এস্কফ কফসিরাপ মোট ৬০৪ বোতল। উল্লেখ্য এর আগে রাজ্যের পুলিস প্রশাসন নেশা সামগ্রী আটক করলেও মালিককে আটক করতে পারেনি। এই যাত্রায় রেল পুলিস তিন মাল বহনকারীসহ আসাম রাজ্যের শিলচর মেহেরপুরের দুই নেশা কারবারিকে আটক করায় প্রশংসার সুনাম অর্জন করেছে ধর্মনগর RPF পুলিস। পুলিসের সামনেই আসামের নেশা কারবারিরা জানায় এর আগে তারা আরও ৪-৫ বার এই ভাবে প্রচুর নেশা সামগ্রী রাজ্যে নিয়ে এসেছে এবং রেলের মাধ্যমে আগরতলায় নিয়ে গেছে। এবং আগরতলার তিন যুবকও জানায় যে তারাও এই ভাবে রেলের মাধ্যমে কফসিরাফ আগরতলায় নিয়ে গেছে কিন্তু তাদের কেউ কিছু করে নি আজ তারা ধরা পড়ল। রেল পুলিসের ওসি জানান এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির NDPS ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অন্য দিকে রেল স্টেশন লাগোয়া নর্থ কন্টিনেন্টাল হোটেল থাকায় নেশা কারবারিরা সহজে এই হোটেলে থেকে নেশা বাণিজ্য চালাছে, পুলিস শীত ঘুমে রয়েছে। সন্দেহের বাইরে নয় নর্থ কন্টিনেন্টাল হোটেল দাবী উঠেছে এই হোটেলের উপর নজর রাখুক পুলিস।

Post a Comment

0 Comments